শেষ ওভারের নাটকীয়তায় খুলনাকে কাঁদিয়ে ফাইনালে চিটাগং
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
শেষ ওভারে জয়ের জন্য চিটাগং কিংসের দরকার ছিল ১৫ রান, হাতে ছিল ৩ উইকেট। ব্যাটিংয়ে আলিস আল ইসলাম ও আরাফাত সানি। অভিজ্ঞ জেসন হোল্ডারকে বাদ দিয়ে খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক আস্থা রাখলেন নিজের আগের ওভারে জোড়া শিকার ধরা মুশফিক হাসানের ওপর। কিন্তু অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিতে পারলেন না এই পেসার। শেষ বলে চার মেরে দলকে ২ উইকেটের জয় এনে দিয়ে ফাইনালে তুলেছেন আলিস।
বুধবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে শেমরন হেটমায়ারের ঝড়ো ফিফটিতে ৬ উইকেটে ১৬৩ রানের সংগ্রহ পায় খুলনা। জবাবে একটা সময় পর্যন্ত জয়ের পথে থাকা চিটাগং খেই হারিয়ে ফেলে মাঝের দিকে। ১৩ থেকে ১৭ ওভারের ভেতর ৫ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচ নিজেদের দিকে নিয়ে আসে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খালি হাতেই ফিরতে হলো তাদের।
রান তাড়ার ১৯তম ওভারে ৬ রান দিয়ে ম্যাচকে নিজেদের নাগালের মধ্যে রাখেন হাসান মাহমুদ। ১৮তম ওভারে হোল্ডার ১৩ রান দেওয়ায় সম্ভবত মিরাজ শেষ ওভারের জন্য মুশফিককে বেছে নেন। কিন্তু ডানহাতি এই পেসারের করা ওভারের প্রথম বলে চার মেরে তা কিছুটা নিজেদের দিকে টেনে নেন সানি। পরের বলে দুই রান নেওয়ার পর তৃতীয় বলেও একই চেষ্টা চালান বাঁহাতি এই ব্যাটার। কিন্তু প্রথম রান সম্পন্ন করার সময় পড়ে যান আলিস। পায়ে ব্যথা পেয়ে সে সময় খেলা চালিয়ে যেতে না পারায় মাঠ ছেড়ে বেড়িয়ে যান ডানহাতি এই ব্যাটার।
এরপর ক্রিজে এসে প্রথম বলেই বাউন্ডারি মেরে সমীকরণ ২ বলে ৪ রানে নিয়ে আসেন শরিফুল ইসলাম। তবে পরের বলেই তাকে সাজঘরে ফেরান মুশফিক। শেষ বলে দলকে জেতাতে আবারও মাঠে নামেন আলিস। মুশফিকের করা অফ-স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিটিকে কাভার অঞ্চলে থাকা ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে পাঠাতেই উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো চিটাগং ডাগআউট।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা খুলনার শুরুটা একদমই ভালো হয়নি। ৪২ রানের ভেতর ৪ উইকেট হারানো দলটি পঞ্চাশ রান স্পর্শ করে ১০ ওভার ২ বলে। তবে তখনও হেটমায়ার ঝড়ের শুরু হয়নি। ১৬ ওভার শেষেও দলের রান ছিল ৪ উইকেটে ৯২।
এরপরই চিটাগং বোলারদের ওপর তাণ্ডবের শুরু করেন হেটমায়ার। পরের তিন ওভারে বাঁহাতি এই ব্যাটারের সহায়তায় যোগ হয় ৫১ রান। তিনি ফেরান ৩৩ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৬৩ রান করে। শেষ ওভারে দলের খাতায় যোগ হয় আরও ১৭ রান।
লক্ষ্য তাড়ায় নামা চিটাগংয়ের পাওয়ারপ্লেতেই দুই উইকেট তুলে নেন হাসান। তবে তৃতীয় উইকেটে দুই পাকিস্তানি খাজা নাফি ও হুসেইন তালাতের ৮০ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে বন্দর নগরীর দলটি। এই জুটি ভাঙতেই ধসে পড়ে তাদের ব্যাটিং-অর্ডার। চার ওভারের ভেতর ২৫ রানের মধ্যে তাদের ৫ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফেরে খুলনা। ১৬তম ওভারে ৫৭ রান করা নাফিসহ খালেদ আহমেদকে সাজঘরে ফিরিয়ে দলের জয়ের সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দেন মুশফিক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলকে আর জেতাতে পারেননি তিনি।
আগামী শুক্রবার ফাইনালে ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হবে চিটাগং।
[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে।]
মন্তব্য করুন: