চিটাগংকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিতল বরিশাল

৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চিটাগংকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিতল বরিশাল

পারভেজ হোসেন ইমন ও খাজা নাফির রেকর্ড উদ্বোধনী জুটির ওপর ভর করে বড় সংগ্রহ পেয়েছিল চিটাগং কিংস। জবাবে তামিম ইকবালের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনায় পেয়েছিল ফরচুন বরিশাল। তবে শরিফুল ইসলামের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচে ফেরার আভাস দিয়েছিল চিটাগং। কিন্তু রিশাদ হোসেনের ব্যাটে শেষ হাসিটা হাসল গতবারের চ্যাম্পিয়নরাই। ৩ উইকেটের জয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন হলো বরিশাল।

শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ উইকেটে ১৯৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় চিটাগং। রান তাড়ায় তামিমের ঝড়ো ফিফটির পর শেষ দিকে রিশাদের দুই ছক্কায় ৩ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায় বরিশাল।

এদিন বিপিএলের ফাইনালের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ১২১ রানের উদ্বোধনী জুটির রেকর্ড গড়েন পারভেজ ও খাজা। রান তাড়ায় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দিকে রাখা বরিশালের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান শরিফুল ইসলাম। দু’বার ওভারে জোড়া উইকেট শিকার করে চিটাগংকে রাখেন শিরোপা জয়ের পথে। কিন্তু বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি।

দলকে দ্বিতীয় শিরোপা জেতাতে ব্যাট হাতে শুরুতেই ঝড় তোলা তামিম ২৪ বলে টুর্নামেন্টে নিজের চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন। তার ব্যাটে ঝড়ো শুরু পাওয়া বরিশালকে নবম ওভারে প্রথম ধাক্কাটা দেন শরিফুল। প্রথম বলে ২৯ বলে ৯ চার ও এক ছক্কায় ৫৪ রান করা তামিমকে সাজঘরে ফেরান তিনি। এরপর বাঁহাতি এই পেসার এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন দারুণ ছন্দে থাকা ডাভিড মালানকেও (১)।

এক ওভার পর তাওহিদ হৃদয়কে (৩২) ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দিকে আনেন নাঈম ইসলাম। এরপর কাইল মায়ার্স ও মুশফিকুর রহিমের পাল্টা আক্রমণে ১৪ বলে দলের খাতায় যোগ করেন ৩৪ রান। মুশফিক (১৬) ফেরার পর মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে দলকে জয়ের পথে রাখেন মায়ার্স। কিন্তু সে পথে আবারও বাধা হয়ে দাঁড়ান শরিফুল। ম্যাচের ১৮তম এবং নিজের শেষ ওভারে তিনি এই দুই ব্যাটারকে ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন। তবে শেষ দুই ওভারে দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে দলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন রিশাদ। শরিফুলের শিকার ৩৪ রানে ৪ উইকেট।

এর আগে নাফির ৪৪ বলে ৬৬ রানের সুবাদে দারুণ শুরু পায় চিটাগংও। এরপর পারভেজ ও গ্রাহম ক্লার্কের ব্যাটে দুইশর বেশি রান তোলার পথে ছিল তারা। কিন্তু শেষের ওভারগুলোতে বরিশালের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তা আর হয়নি। ৪৯ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৭৮ রানে অপরাজিত থাকেন ওপেনার পারভেজ। ক্লার্ক করেন ২৩ বলে ৪৪ রান।

[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে।]

মন্তব্য করুন: