বিপিএল সেরার পুরস্কার জিতলেন যারা
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চিটাগং কিংসকে হারিয়ে ফরচুন বরিশালের শিরোপা জয় দিয়ে শেষ হয়েছে বিপিএলের একাদশ আসরের। এই নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হলো তামিম ইকবালের দল। তবে আসরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেনি দুই ফাইনালিস্টের কেউ। এই পুরস্কার ঘরে তুলেছেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।
এবারই প্রথম বিপিএলের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন তিনি। অর্থ পুরস্কার হিসেবে ডানহাতি এই অলরাউন্ডার পেয়েছেন ১০ লাখ টাকা। তার নেতৃত্বে লিগ পর্বে চার নম্বরে থেকে প্লে-অফে ওঠে খুলনা। তবে চিটাগংয়ের কাছে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে হেরে ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন ভঙ্গ হয় দলটির।
ব্যাট হাতে ১৪ ইনিংসে ১৩২ দশমিক ৯৫ স্ট্রাইক-রেট এবং দুই ফিফটিতে মিরাজ করেছেন ৩৫৫ রান। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৭৪ রান। অন্যদিকে সমান সংখ্যক ইনিংসে বল হাতে ডানহাতি অফস্পিনে তার শিকার ১৩ উইকেট। ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৭ দশমিক ৭১ করে। সেরা বোলিং ফিগার ৬ রানে ৩ উইকেট।
ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা নাঈম শেখ হয়েছেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান-সংগ্রাহক। তিনি পেয়েছেন ৫ লাখ টাকা। খুলনার হয়ে ১৪ ইনিংসে বাঁহাতি এই ওপেনারের ব্যাট থেকে ১৪৩ দশমিক ৯৪ স্ট্রাইক-রেটে রান এসেছে ৫১১। ৩টি ফিফটির পাশাপাশি তার ব্যাট থেকে এসেছে একটি সেঞ্চুরিও।
বিপিএলের ইতিহাসে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে এক আসরে পাঁচশ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন নাঈম। এর আগে ২০২৩ সালের আসরে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত ৫১৬ রান এবং ২০১৯ সালে রংপুর রাইডার্সের হয়ে রেকর্ড ৫৫৮ রান করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার রাইলি রুশো।
অন্যদিকে বল হাতে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির পুরস্কার জিতেছেন তাসকিন আহমেদ। তাকেও দেওয়া হয়েছে ৫ লাখ টাকা। দুর্বার রাজশাহীর হয়ে ডানহাতি এই পেসার ১২ ম্যাচে ১২ দশমিক ০৪ গড়ে শিকার করেন ২৫ উইকেট। ওভার প্রতি রান দেন সাড়ে ছয়ের কম।
বিপিএলের সেরা বোলিং ফিগারেরও রেকর্ড গড়েন তাসকিন। ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ১৯ রানের বিনিময়ে শিকার করেন ৭ উইকেট।
তাসকিনের আগে বিপিএলের এক আসরে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটি ছিল সাকিব আল হাসানের। ২০১৯ সালের আসরে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে ১৫ ম্যাচে বাঁহাতি স্পিনে শিকার করেন ২৩ উইকেট।
এবারের আসরে প্রথমবারের মতো দেওয়া হয় সেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরস্কার। এর এই পুরস্কার জিতেছেন জাতীয় দলের হয়ে ইতোমধ্যে দুটি বিশ্বকাপ খেলে ফেলা তানজিদ হাসান তামিম। তিনি পেয়েছেন ৩ লাখ টাকা। ঢাকার হয়ে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা এই ওপেনার ১২ ইনিংসে ১৪১ দশমিক ৩৯ স্ট্রাইক-রেটে ৪৮৫ রান করে আসর শেষ করেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান হিসেবে। ৪টি ফিফটির সঙ্গে হাঁকান একটি সেঞ্চুরি। এছাড়াও এক মৌসুমে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৬টি ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ডও গড়েন ২৪ বছর বয়সী এই ব্যাটার।
উইকেটের পেছনে ১২টি ক্যাচ ও ২টি স্ট্যাম্পিং করে সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার জিতেছেন মুশফিকুর রহিম। বরিশালের এই উইকেটকিপারও পেয়েছেন ৩ লাখ টাকা।
মন্তব্য করুন: