পাকিস্তানকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা নিউ জিল্যান্ডের

১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

পাকিস্তানকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা নিউ জিল্যান্ডের

বোলারদের নৈপুণ্যে পাকিস্তানের সংগ্রহটা বেশি বড় হতে দেয়নি নিউ জিল্যান্ড। এরপর ব্যাটারদের দৃঢ়তায় সহজেই সেটি তাড়া করে ফেলল তারা। ব্যাটে-বলে স্বাগতিকদের পাত্তা না দিয়ে ৫ উইকেটের জয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে কিউইরা।

শুক্রবার করাচিতে সিরিজের ফাইনালে আগে ব্যাট করে ২৪২ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। জবাবে ড্যারেল মিচেল ও টম ল্যাথামের জোড়া ফিফটিতে ২৮ বল হাতে রেখে লক্ষ্য পৌঁছে যায় নিউ জিল্যান্ড।

এরই সঙ্গে প্রায় ২০ বছর পর টেস্ট খেলুড়ে দেশকে নিয়ে কোনো বহুজাতিক টুর্নামেন্টের শিরোপা ঘরে তুলল কিউইরা। ২০০৫ সালের আগস্টে সবশেষ জিম্বাবুয়ে ও ভারতকে নিয়ে খেলা ত্রিদেশীয় সিরিজের চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। 

এছাড়াও আগামী বুধবার থেকে শুরু হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে দারুণ প্রস্তুতিও সেরে নিল নিউ জিল্যান্ড। একই মাঠে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে তারা। পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে আয়োজিত ত্রিদেশীয় সিরিজের তিন ম্যাচের সবকটিতেই জয় পেল মিচেল স্যান্টনারের দল।

রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি নিউ জিল্যান্ডের। দ্বিতীয় ওভারেই দলীয় ৫ রানে ওপেনার উইল ইয়ংয়ের উইকেট হারায় তারা। তবে এরপর সফরকারীদের আর কোনো চাপে ফেলতে পারেনি পাকিস্তান বোলাররা। দ্বিতীয় উইকেটে ডেভন কনওয়ে ও কেইন উইলিয়ামসনের ৭১ রানের জুটিতে চালকের আসনে বসে কিউইরা।

৩৪ রান করে উইলিয়ামসন ফিরলে কোনো বিপদ ছাড়া দলকে জয়ের পথে নিয়ে যেতে থাকেন কনওয়ে-মিচেল-ল্যাথামরা। সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন মিচেল। আগের দুই ম্যাচে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরা ল্যাথাম করেন ৫৬ রান। ৪৮ রান করে সাজঘরের পথ দেখেন কনওয়ে।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। ৫৪ রানেই প্রথম তিন ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। তবে এর আগে পাকিস্তানের ১১তম ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে ৬ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন বাবর আজম। হাশিম আমলার সমান ১২৩ ইনিংস খেলে যৌথভাবে দ্রুততম এই কীর্তি গড়েন এই তারকা ব্যাটার। তিনি ফেরেন ২৯ রান করে।

বাবর ফেরার পর এদিনও পাকিস্তানের হাল ধরেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সালমান আলী আগা। চতুর্থ উইকেটে জুটি গড়ে দলকে প্রায় চাপমুক্ত করেই ফেলেছিলেন তারা। কিন্তু এই পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান উইল ও’রোর্ক। ৪৬ রান করা রিজওয়ানকে বোল্ড করে এই ভাঙেন ৮৮ রানের জুটিটি। এরপর আবারও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে শুরু করলে ৩ বল আগে অলআউট হয় পাকিস্তান।

ম্যাচসেরা ও’রোর্কের শিকার ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন স্যান্টনার ও মাইকেল ব্রেসওয়েল। সিরিজসেরা পাকিস্তানের সালমান।

মন্তব্য করুন: