জাকিরকে নিয়ে হৃদয়ের লড়াইয়ে বাংলাদেশের ২২৮

২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

জাকিরকে নিয়ে হৃদয়ের লড়াইয়ে বাংলাদেশের ২২৮

প্রথম ১০ ওভারের আগেই অর্ধেক ব্যাটারকে হারিয়ে দারুণ চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। এরপরই জাকের আলীকে নিয়ে শুরু তাওহিদ হৃদয়ের প্রতিরোধ। রেকর্ড জুটি গড়ে দলকে লড়াই করার মতো সংগ্রহ এনে দিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ২২৮ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। ক্যারিয়ারের প্রথম শতকে হৃদয় করেন ১০০ রান। ষষ্ঠ উইকেটে জাকেরের সঙ্গে গড়েন ১৫৪ রানের জুটি, যা এই উইকেটে ওয়ানডেতে ভারতের বিপক্ষে যে কোনো দলের সর্বোচ্চ জুটি।

হৃদয়-জাকেরের এই জুটি ভেঙে দিয়েছে ওয়ানডেতে ষষ্ঠ উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ডও। আগের রেকর্ডেও ছিলেন জাকের। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদসহ সঙ্গে গত ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তারা ১৫০ রানের জুটি গড়েছিলেন।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম পাওয়াপ্লেতে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৯ রান তোলে বাংলাদেশ। ম্যাচের প্রথম ওভারের শেষ বলে সৌম্য সরকারের (০) উইকেট হারায় দল। পরের ওভারে রানের খাতা খোলার আগে সাজঘরের পথ দেখেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও।

মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে দারুণ চাপে থাকা দলকে টেনে তোলার চেষ্টা চালান তানজিদ হাসান তামিম। কিন্তু ২৪ রানের এই জুটি ভাঙে মোহাম্মদ শামির দ্বিতীয় শিকার হয়ে মিরাজ (৫) আউট হলে।

ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রেখে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন তানজিদ। কিন্তু ইনিংসের নবম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে এসে জোড়া শিকার ধরে বাংলাদেশকে আরও বিপদে ফেলেন অক্ষর প্যাটেল। ওভারের দ্বিতীয় বলে তুলে নেন ২৫ বলে ২৫ রান করা তানজিদের উইকেট। পরের বলেই ফেরান মুশফিকুর রহিমকেও।

হ্যাটট্রিকও প্রায় করে ফেলেছিলেন প্যাটেল। নিজের খেলা প্রথম বলেই স্লিপে ক্যাচ দেন জাকের। কিন্তু সহজ ক্যাচটি তালুবন্দী করতে ব্যর্থ হন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। জীবন পেয়ে সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি জাকের। হৃদয়কে নিয়ে ধীরে ধীরে দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলতে শুরু করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।

তবে এক্ষেত্রে অবদান আছে ভারতীয় ফিল্ডারদেরও। দলীয় ৭৯ রানে হৃদয়ের সহজ ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হন হার্দিক পান্ডিয়া। সে সময় ২৪ রানে ব্যাট করছিলেন হৃদয়।

সাবধানী ব্যাটিংয়ে ৮৭ বলে ফিফটি তুলে নেন জাকের। সঙ্গীর পর ৮৫ বলে অর্ধশতক তুলে নেন হৃদয়ও। এরপরই হাত খুলে খেলতে শুরু করেন তিনি। অপর প্রান্তে শামির করা অফ স্টাম্পের বাইরের বল টেনে লং-অনের উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বিরাট কোহলির হাতে ক্যাচ দেন জাকের। ফেরেন ১১৪ বলে ৬৮ রান করে।

রিশাদ হোসেনের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে আড়াইশ রানের দিকে এগুচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ডানহাতি এই ব্যাটারের ১২ বলে ১৮ রানের ইনিংসটি থামলে তা আর হয়নি। শেষ দিকে হৃদয় পায়ের ক্র্যাম্পে পড়লে অস্বস্তি নিয়ে ১১৪ বলে নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে তিনি সাজঘরে ফিরলে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।

শামির শিকার ৫ উইকেট। হার্শিত রানা নেন ৩ উইকেট।

মন্তব্য করুন: