ইংলিশ পাসপোর্ট থাকলেও ইংলিসকে ছাড়বেন না স্মিথ
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

জন্ম ও বেড়ে ওঠা ইংল্যান্ডে। ক্রিকেটের হাতেখড়িও সে দেশেই। কিন্তু জশ ইংলিস এখন খেলছেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে। আর চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ডানহাতি এই ব্যাটারের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে রেকর্ড সংগ্রহ গড়েও হেরে গেছে ইংলিশরা। ম্যাচ শেষে অজি অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ জানিয়েছেন, ইংলিসকে ছাড়বে না তারা।
শনিবার লাহোরে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ৩৫১ রানের সংগ্রহ পায় ইংল্যান্ড। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে তখন পর্যন্ত এটি ছিল সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড। তবে তা স্থায়ী ছিল মাত্র কয়েক ঘণ্টাই। ৮৬ বলে ইংলিসের অপরাজিত ১২০ রানের ইনিংসে ৫ উইকেটের রেকর্ড জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি তো বটেই, আইসিসির যে কোনো টুর্নামেন্টে এটি সফল রান তাড়ার সর্বোচ্চ রেকর্ডও।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইক আথারটন মজা করে স্মিথের কাছে জানতে চান, ইংলিসের কাছে এখনও ইংলিশ পাসপোর্ট আছে কি না? আথারটনের প্রশ্নে হেসে উঠে অজি অধিনায়ক বলেন, “আমি জানি না জশের কাছে এখনও ইংলিশ পাসপোর্ট আছে কি না। তবে সে কোথাও যাচ্ছে না।”
সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে রেকর্ড জয় এনে দেওয়া ইংলিস এদিন নিজেও গড়েছেন এক কীর্তি। দ্রুততম অজি ব্যাটার হিসেবে তিন ফরম্যাটে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন তিনি। ৫৯তম ম্যাচে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে শেন ওয়াটসন, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ডেভিড ওয়ার্নার তিন ফরম্যাটে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কীর্তি গড়া ইংলিসের জন্ম ১৯৯৫ সালে ইংল্যান্ডের লিডসে। মা-বাবাও ইংল্যান্ডের। ক্রিকেটের হাতেখড়ি হয় কাউন্টি দল ইয়র্কশায়ারের একাডেমিতে। সেখানে বয়সভিত্তিক দলেও খেলেছেন চার মৌসুম। তবে তার ১৫তম জন্মদিনের আগে তার পরিবার পাড়ি জমান ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া। এরপর সেখানে শুরু করেন ক্রিকেটের নতুন যাত্রা।
২০২২ সালে টি-টুয়েন্টি দিয়ে ইংলিসের অভিষেক হয় অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলে। এই ফরম্যাটে অজিদের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিকও তিনি। ২০২৪ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৩ বলে সেঞ্চুরি হাঁকান। গত মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন ৯০ বলে। এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দেখা পেলেন ওয়ানডের প্রথম শতকও।
সংবাদ সম্মেলনে জন্মভূমির দলের বিপক্ষে ইনিংসটিকেই সেরা হিসেবে আখ্যা দিয়ে ইংলিস বলেন, “পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনা করলে হয়তো এটি আমার সেরা ইনিংস। এটা সত্যিই স্পেশাল। আইসিসি আসরে ছাপ রাখার তাড়না থাকে সবার। দলকে ম্যাচ জেতাতে সহায়তা করার ইচ্ছা থাকে।”
ইংল্যান্ডে থাকা আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে মেসেজ পাওয়ার কথাও জানান ২৯ বছর বয়সী এই ব্যাটার। কয়েক বছর আগেও ইংল্যান্ডকে সমর্থন করার জানান ইংলিস। এখনও তাদের সমর্থন করেন কি না – এই প্রশ্নে বলেন, “আমার মনে হয় সেই দিনগুলো অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে।”
মন্তব্য করুন: