রান তুলতে ধুঁকে বাংলাদেশের ২৩৬
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে টিকে থাকার লড়াইয়ে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে শুরুটা ভালোই এনে দিয়েছিলেন তানজিদ হাসান তামিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু এরপরই ঘটল ছন্দপতন। মাইকেল ব্রেসওয়েলের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোর পাশাপাশি কমলো রানের গতিও। একের পর এক ডট বল খেলে আড়াইশও পার করতে পারেনি বাংলাদেশ।
সোমবার রাওয়ালপিন্ডির ব্যাটিং সহায়ক পিচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ২৩৬ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। পুরো ইনিংসে ১৮১ বলে কোনো রান নিতে পারেননি ব্যাটাররা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৭ রান করতে অধিনায়ক শান্ত খেলেন ১১০ বল।
নবম ওভারে বোলিংয়ে আসা ব্রেসওয়েলের টানা ১০ ওভারের স্পেলে ২৬ রান তুলতে মোট ৪৩টি ডট দেন ব্যাটাররা। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ডানহাতি এই অফস্পিনার শিকার করেন ৪ উইকেট। অন্যদিকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২টি ডট দেওয়া পেসার উইল ওরোর্ক শিকার করেন ২ উইকেট।
ভারতের বিপক্ষে গত ম্যাচে বাজে শুরুর পর এদিন দলকে ভালো শুরু এনে দেন তানজিদ ও শান্ত। কিন্তু এবারও শুরুটা ধরে রাখতে পারেননি তানজিদ। ২৪ বলে ২৪ রান করে ব্রেসওয়েলের প্রথম শিকার হয়ে বাঁহাতি এই ওপেনার সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৪৫ রানের জুটিটি।
দীর্ঘদিন ধরে টপ-অর্ডারে ব্যাটিংয়ের সুযোগ চাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ ব্যর্থ হন আবারও। তিন নম্বরে নেমে ছক্কা হাঁকিয়ে আগ্রাসী শুরুর ইঙ্গিত দেন। কিন্তু ১৩ রানের বেশি করতে পারেননি। ওরোর্কের বলে মিড-অনে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ক্রিজে থিতু হলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি আগের ম্যাচে শতক হাঁকানো তাওহিদ হৃদয়। ২৪ বল খেলে ৭ রান করে তিনি ফেরেন ব্রেসওয়েলের দ্বিতীয় শিকার হয়ে।
দলকে হতাশ করেন মুশফিকুর রহিম ও চোট কাটিয়ে দলে ফেরা মাহমুদউল্লাহও। এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারকেও ফেরান ব্রেসওয়েল। নিজের প্রিয় স্লগ-সুইপ খেলতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দেন মুশফিক (২)। খানিকবাদে নিজের উইকেট বিলিয়ে দেন সৌম্য সরকারের জায়গায় দলে আসা মাহমুদউল্লাহও (৪)।
এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে সঙ্গীদের আসা-যাওয়ার মিছিল দেখতে থাকা শান্ত ক্যারিয়ারের দশম ফিফটি তুলে নেন ৭১ বলে। ষষ্ঠ উইকেটে জাকের আলীর সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেওয়ার পথেও রাখেন। কিন্তু একের পর এক ডট দিয়ে চাপ বাড়ানোর পর আগ্রাসী হতে গিয়ে মিড-অফে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ভাঙে ৬৭ বলে ৪৫ রানের জুটিটি।
এরপর দ্রুত রান করার চেষ্টা করেন জাকের ও রিশাদ হোসেন। ২৫ বলে ২৬ রান করে রিশাদ ফেরার পর জাকের ৫৫ বলে ৪৫ রান করে রানআউট হলে আড়াইশ পর্যন্ত যেতে পারেনি বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন: