ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন বাটলার

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন বাটলার

টানা ব্যর্থতার দায় নিয়ে ইংল্যান্ডের ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি দলের অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন জস বাটলার। শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচে দলকে শেষবারের মতো নেতৃত্ব দেবেন তিনি।

টানা দুই ম্যাচ হেরে এরই মধ্যে এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে বিদায় নিয়েছে ইংলিশরা। ফলে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ম্যাচটি তাদের জন্য কেবল নিয়ম রক্ষার।

করাচিতে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া বাটলার বলেন, “আমি ইংল্যান্ডের অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। এটা আমার এবং দলের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত। আশা করছি, অন্য কেউ ম্যাককালামের (হেড কোচ) সঙ্গে দলকে এমন জায়গায় নিয়ে যাবে যেখানে এটির থাকা উচিত।

বাটলারের জায়গায় ইংল্যান্ডের সাদা বলের পরবর্তী অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন সহ-অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক।

ওয়েইন মরগ্যানের উত্তরসূরি হিসেবে ২০২২ সালের জুনে ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্ব পান বাটলার। তার নেতৃত্বে সে বছর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জেতে ইংলিশরা। তবে এরপর থেকেই সাদা বলে ইংলিশদের পারফরম্যান্স নিচের দিকে নামতে থাকে। ২০২৩ ওয়ানডে, ২০২৪ টি-টুয়েন্টি ও ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি তাদের শেষ হয় হতাশা দিয়েই।

চলতি বছর বাটলারের অধীনে খেলা ১০টি সাদা বলের ম্যাচের মধ্যে ৯টিতেই হারের মুখ দেখে ইংল্যান্ড। আফগানিস্তানের কাছে সবশেষ ম্যাচে ৮ রানে হেরে নিশ্চিত হয় চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে বিদায়ও। ম্যাচ শেষেই পদত্যাগের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বাটলার।

২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকেই তার অধিনায়কত্ব নিয়ে সমালোচনার শুরু হয়। শিরোপা ধরে রাখার আসরে তখনকার চ্যাম্পিয়নরা জয় পায় মাত্র তিন ম্যাচে। প্রথম দল হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায়ও নিশ্চিত হয় তাদেরই। তখন থেকে খেলা ২৫ ওয়ানডের মধ্যে ১৮টিতেই হেরেছে ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি মিলিয়ে বাটলারের অধীনে মোট ৯৫টি ম্যাচে মাঠে নামে ইংল্যান্ড। এর মধ্যে জয় ৪৪টি এবং হার ৪৭ ম্যাচে। বাকি চার ম্যাচে কোনো ফলাফল আসেনি।

মন্তব্য করুন: