ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে সেমিতে দক্ষিণ আফ্রিকা

ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে সেমিতে দক্ষিণ আফ্রিকা

বোলারদের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে ইংল্যান্ডকে দুইশ’র আগে আটকে রেখে সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচের ফলও প্রায় ঠিক হয়ে গেছিল তখনই। এরপর বাকি কাজটা সারলেন ব্যাটাররা। হাইনরিখ ক্লাসেনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটের সহজ জয়ে ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে প্রোটিয়ারা।

শনিবার করাচিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার পেস তোপে ৩৮ ওভার বলে ১৭৯ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। জবাবে রাসি ফন ডার ডুসেন ও ক্লাসেনের ফিফটিতে ২০ ওভার ৫ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায় প্রোটিয়ারা।

দক্ষিণ আফ্রিকার সেমি-ফাইনালের টিকিট আটকে ছিল মূলত আফগানিস্তানের কারণে। তবে ইংলিশরা দুইশ’র আগে অলআউট হওয়ায় তখনই শেষ হয়ে যায় আফগানদের শেষ চারের স্বপ্ন। কারণ এই ম্যাচে ইংল্যান্ড যদি ২০৭ রানের ব্যবধানে জিততে পারত তবেই দক্ষিণ আফ্রিকার নেট রানরেটকে টপকে সেমি-ফাইনালে যেত রশিদ-নবীরা।

ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি প্রোটিয়াদের। তৃতীয় ওভারে জফরা আর্চারের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ম্যাচে সুযোগ পাওয়া ট্রিস্ট্যান স্টাবস (০)। ২৭ রান করা আরেক ওপেনার রায়ান রিকেলটনকেও বোল্ড করেন আর্চার। এরপর ডুসেন-ক্লাসেন জুটির সামনে আর কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারেনি ইংলিশরা।

চোট কাটিয়ে একাদশে ফিরে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৪১ বলে ফিফটি তুলে নেন ক্লাসেন। সঙ্গীর দেখানো পথ ধরে ধীরগতির ব্যাটিংয়ে ৭২ বলে অর্ধ-শতক তুলে নেন ডুসেনও। তৃতীয় উইকেটে এই দুই ব্যাটার গড়েন ১২৭ রানের জুটি। তবে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জেতাতে গিয়ে ৬৪ রান করা ক্লাসেন সাজঘরে ফিরলে এই জুটি ভাঙে। কিন্তু তিনি না পারলেও ডেভিড মিলার ছক্কা হাঁকিয়ে দলের জয় এনে দেন। ৭২ রানে অপরাজিত থাকেন ডুসেন।

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ইংলিশরা। আগ্রাসী শুরুর আভাস দিলেও মার্কো ইয়েনসেনের পেসের কাছে দিশেহারা ছিল তারা। প্রথম ওভারেই বাঁহাতি এই পেসার তুলে নেন ফিল সল্টকে (৮)। নিজের দ্বিতীয় ওভারে প্রায় একইভাবে ফেরান জেইমি স্মিথকেও (০)। ইয়েনসেনের হাতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ দেখেন ২৪ রান করা বেন ডাকেট।

৩৭ রানে উইকেট হারানোর পর হ্যারি ব্রুককে নিয়ে চাপে থাকা দলের হাল ধরেন জো রুট। কিন্তু তাদের সমানে আবারও বাধা হয়ে দাঁড়ালেন ইয়েনসেন। তবে এবার ফিল্ডার হিসেবে। কেশব মহরাজের বলে প্রায় ২৮ মিটার দৌড়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচে ফেরান ১৯ রান করা ব্রুককে। ভাঙে চতুর্থ উইকেটে ৬২ রানের জুটিটি।

এরপরই ভেঙে পড়ে ইংলিশ ব্যাটিং-অর্ডার। পরের ওভারে ভিয়ান মুল্ডারের বলে বোল্ড হন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান রুট। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর একে একে ফেরেন লিয়াম লিভিংস্টোন () জেইমি ওভারটন (১১) ৩০ রানের ভেতর মাঝের উইকেট হারানোর পর আর্চারকে নিয়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন অধিনায়ক হিসেবে শেষ ম্যাচ খেলতে নামা জস বাটলার। কিন্তু ৪২ রানের এই জুটি ভাঙতে দ্রুতই গুটিয়ে যায় ইংলিশরা। বাটলার ফেরেন ২১ রান করে।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন ইয়েনসেন ও মুল্ডার। স্পিনে দুটি উইকেট নেন মহরাজ।

মন্তব্য করুন: