কোহলির ব্যাটে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে ভারত

কোহলির ব্যাটে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে ভারত

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে উঠতে হলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আইসিসির যে কোনো টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বে রান তাড়ার রেকর্ড গড়তে হতো ভারতকে। বিরাট কোহলির নৈপুণ্যে সেটিই করে দেখিয়েছে রোহিত শর্মার দল। অস্ট্রেলিয়াকে ৪ উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে তারা।

মঙ্গলবার দুবাইয়ে প্রথম সেমি-ফাইনালে স্টিভ স্মিথ ও অ্যালেক্স ক্যারির জোড়া ফিফটিতে ২৬৪ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে কোহলির ৮৪ রানের ওপর ভর করে ১১ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত।

আইসিসির যে কোনো টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আগের সফল রান তাড়ার রেকর্ডটিও ছিল ভারতের। ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে ২৬১ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির দল।

এই নিয়ে টানা তৃতীয় ও সব মিলিয়ে পঞ্চমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে উঠল ভারত। তবে এক্ষেত্রে কিছুটা অবদান আছে অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডারদেরও। মোট তিনটি ক্যাচ ছাড়ে তারা, যার মধ্যে একটি কোহলির।

রান তাড়ায় প্রথম তিন ওভারের মধ্যেই দু’বার জীবন পান রোহিত। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওভারে তার ক্যাচ তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন কুপার কনোলি ও মার্নাস লাবুশেন। তবে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই শুবমান গিলকে বোল্ড করে ৩০ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন বেন ডোয়ার্শিস।

দুটি জীবন পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি রোহিত। সঙ্গীর বিদায়ের খানিকবাদে কনোলির শিকার হয়ে ২৮ রান করে ফেরেন ভারত অধিনায়ক। দ্রুত দুই ওপেনারকে হারানোর পর শ্রেয়াস আইয়ারকে নিয়ে জুটি গড়ে দলকে চাপমুক্ত করেন কোহলি। একই সঙ্গে এই জুটিতেই গড়ে যায় ম্যাচের ভাগ্যও।

৫৩ বলে ফিফটি তুলে নেন কোহলি। এরপরই অস্ট্রেলিয়ার সামনে সুযোগ এসেছিল অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে ফেরানোর। কিন্তু কনোলির বলে শর্ট কাভারে তার ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। অবশ্য পরের ওভারেই আইয়ারকে (৪৫) বোল্ড করে তৃতীয় উইকেটে ৯১ রানের জুটিটি ভাঙেন অ্যাডাম জ্যাম্পা।

এরপর অক্ষর প্যাটেল ও লোকেশ রাহুলকে নিয়ে জুটি গড়ে দলকে জয়ের আরও কাছে নিয়ে যান কোহলি। ছিলেন সেঞ্চুরির পথেও। কিন্তু জ্যাম্পার বলে আউট হলে থামে ৯৮ বলে ৫ চারে সাজানো তার ইনিংসটি।

কোহলির বিদায়ে পর অস্ট্রেলিয়ার জয়ের কিছুটা আশা জাগলেও তা শেষ করে দেন রাহুল-হার্দিক পান্ডিয়া জুটি। পান্ডিয়ার বিদায়ের পর ৪৯তম ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন রাহুল।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়াকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ট্র্যাভিস হেড। তবে ৩৯ রানের বেশি করতে পারেননি এই বাঁহাতি ওপেনার। মার্নাস লাবুশেনকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটি গড়েন স্মিথ। ২৯ রান করা লাবুশেন ফেরার পর বেশিক্ষণ টেকেননি জশ ইংলিসও (১১)।

পঞ্চম উইকেটে স্মিথ-ক্যারির জুটিতে বড় সংগ্রহের দিকে এগুতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। ৬৮ বলে ফিফটি তুলে নেন স্মিথ। সেঞ্চুরির পথে থাকা এই ব্যাটার মোহাম্মদ শামির ফুলটস বলকে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে তিনি বোল্ড হয়ে ফেরেন ৭৩ রান করে। অক্ষর প্যাটেলের করা পরের ওভারে একটি ছক্কা হাঁকিয়ে পরের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও।

দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর কমে আসে রানের গতিও। ৪৮ বলে ফিফটি তুলে নিয়ে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেওয়ার চেষ্টায় থাকেন ক্যারি। কিন্তু ৪৮তম ওভারের প্রথম বলে দুই রান নিতে ২৯ রানে শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয় ৪৯ ওভার ৩ বলে।

[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে।]

মন্তব্য করুন: