ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা মুশফিকের
৫ মার্চ ২০২৫

ব্যাট হাতে সাম্প্রতিক সময়টা ভালো যাচ্ছিল না। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তার হতশ্রী পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনাও চলছিল অনেক। শেষ পর্যন্ত বিদায়েরই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করা এই ব্যাটার।
বুধবার রাত ১১টা ১২ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এক পোস্টে জাতীয় দলের রঙিন পোশাককে তুলে রাখার ঘোষণা দেন মুশফিক। আগেই টি-টুয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ায় বাংলাদেশকে এখন কেবল টেস্টে প্রতিনিধিত্ব করবেন ৩৭ বছর বয়সী এই ব্যাটার।
বিদায়ী বার্তায় অভিজ্ঞ এই ব্যাটার লেখেন, “আজকে থেকে আমি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ফরম্যাট থেকে নিজের অবসর ঘোষণা করছি। যখনই আমি দেশের হয়ে মাঠে নেমেছি, সততার সঙ্গে আমি একশ ভাগের বেশি দিয়ে নিজেকে উৎসর্গ করেছি।”
“গত কয়েক সপ্তাহ আমার জন্য বেশ কঠিন ছিল এবং বুঝতে পেরেছি এটাই আমার ভাগ্য।”
“সবশেষে, আমি আমার পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও সমর্থকদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই যাদের জন্য আমি গত ১৯ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি।”
প্রায় ১৯ বছরের ক্যারিয়ারে বাংলাদেশের হয়ে ২৭৪ ওয়ানডেতে মাঠে নামেন মুশফিক। ২৫৬ ইনিংসে প্রায় সাড়ে ৩৬ গড়ে তিনি ৭ হাজার ৭৯৫ রান করেছেন। ৪৯টি ফিফটির পাশাপাশি হাঁকিয়েছেন ৯টি শতক। সর্বোচ্চ ১৪৪ রানের ইনিংসটি খেলেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৮ এশিয়া কাপে। দেশের হয়ে ওয়ানডেতে রান-সংগ্রহের দিক দিয়ে তার ওপরে আছেন তামিম ইকবাল (৮ হাজার ৩৫৭ রান)।
উইকেটকিপার হিসেবে খেলা ২৬০ ম্যাচে তিনি ২৯৭ ডিসমিসালে অবদান রাখেন তিনি। ২৪১টি ক্যাচের সঙ্গে স্টাম্পিং করেছেন ৫৬টি।
ওয়ানডেতে জাতীয় দলের হয়ে মুশফিকের পথচলার শুরুটা হয় ২০০৬ সালের আগস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে, ১৭ বছর বয়সে। সেই ম্যাচে তিনি ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। রঙিন পোশাকের ক্রিকেটে ডানহাতি এই ব্যাটার নিজেকে আলাদা করে চেনান ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে। ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের ম্যাচে ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
২০১১ সালের অক্টোবরে জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব পান মুশফিক। তার অধীনে খেলা ৩৭ ওয়ানডেতে ১১টিতে জয় পায় বাংলাদেশ। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সেরা সাফল্য ২০১২ সালের এশিয়া কাপের ফাইনাল। অধিনায়ক হিসেবে ৩৫ ইনিংসে ৩৪ দশমিক ৩৫ গড়ে তিনি ১ হাজার ৬৫ রান করেন।
মিডল-অর্ডারে দলের ভরসার অন্যতম নাম হলেও সাম্প্রতিক সময়ে একদমই মলিন ছিল মুশফিকের ব্যাট। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দুই ম্যাচে রান করেছেন মাত্র ২। এই ফরম্যাটে সবশেষ সেঞ্চুরির দেখা পান ২০২৩ সালের মার্চে, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। এরপর খেলা ২৭ ইনিংসে ফিফটির করেন ছয়টি।
[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে।]
মন্তব্য করুন: