স্পিনারদের দাপটে ভারতের তৃতীয় শিরোপা
৯ মার্চ ২০২৫

শুরুতে কাজটি করে দিয়েছিল ভারতের চার স্পিনার। ব্যাটারদের বেঁধে রেখে নিউ জিল্যান্ডকে আটকে দিয়েছিল ২৫১ রানে। এরপর রোহিত শর্মার বিধ্বংসী শুরুতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে নেওয়ার পর কিউই স্পিনারদের সামলে সহজ জয় তুলে নিয়েছে ভারত।
৪ উইকেটের জয়ে রেকর্ড তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা হাতে নিয়েছে ভারত।
রোববার দুবাইয়ের ফাইনালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ড্যারিল মিচেল ও মাইকেল ব্রেসওয়েলের ফিফটিতে ৭ উইকেটে ২৫১ রানের সংগ্রহ পায় নিউ জিল্যান্ড। রান তাড়ায় রোহিতের ৭৩ রানের ইনিংসের পর মিডল-অর্ডারদের দৃঢ়তায় এক ওভার হাতে রেখে লক্ষ্য পৌঁছায় ভারত।
এর আগে ২০০২ ও ২০১৩ সালের আসরে শিরোপা জিতে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সবচেয়ে সফল দল ছিল তারা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সব ম্যাচ খেলে এবার অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হলো রোহিতের দল।
শিরোপা লড়াইয়ে মূল পার্থক্য গড়ে দেন স্পিনাররাই। ভারতের স্পিনাররা ৩৮ ওভার বোলিং করে ১৪৪ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট শিকার করেন। অন্যদিকে ৩৫ ওভার বোলিং করা নিউ জিল্যান্ডের স্পিনাররা ১৫২ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট।
দুবাইয়ের মন্থরগতির উইকেটে রান তাড়ায় ভারতকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন রোহিত। ম্যাট হেনরিকে ছাড়া কিউই পেস আক্রমণকে পেয়ে শুবমান গিলকে অপর প্রান্তে রেখে তাণ্ডব চালিয়ে অষ্টম ওভারে দলের সংগ্রহ ৫০ রানে নিয়ে যান ভারত অধিনায়ক। এরপর ৪১ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ক্যারিয়ারের ৫৮তম ফিফটি তুলে নেন তিনি।
ধীরগতিতে ব্যাট করা গিলকে (৩০) ফিরিয়ে ১০৫ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন মিচেল স্যান্টনার। তবে এই উইকেটে সবচেয়ে বড় অবদান গ্লেন ফিলিপসের। এক্সট্রা কাভারের উপর দিয়ে চারের উদ্দেশে মারা গিলের শটে শূন্যে ভেসে বল ডান হাত দিয়ে তালুবন্দি করেন তিনি।
পরের ওভারেই বিরাট কোহলিকে (১) এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলে ভারতকে চাপে ফেলেন ব্রেসওয়েল। ৪ বলের ভেতর দুই উইকেট হারানোর পর রোহিতও ফেরেন দ্রুত। রাচিন রবীন্দ্রকে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হন তিনি। ৮৩ বলের ম্যাচসেরা ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭ চার ও ৩ ছক্কায়।
১৭ রানের ভেতর ৩ উইকেট হারানোর পর স্পিনারদের দাপট সামলে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেলের ৬১ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে ভারত। তবে এক্ষেত্রে অবদান আছে ফিল্ডারেরও। ৪৫ রানে থাকা আইয়ারের সহজ ক্যাচ ছাড়েন কাইল জেইমিসন। কিন্তু জীবন পাওয়াকে কাজে লাগানোর আগেই তাকে তুলে নেন স্যান্টনার।
এরপর অক্ষর (২৯) ফিরলেও হার্দিক পান্ডিয়া ও লোকেশ রাহুলের জুটিতে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছায় ভারতীয়রা। পান্ডিয়া আউট হলে ৪৯তম ওভারের শেষ বলে ডিপ স্কোয়ার লেগ অঞ্চল দিয়ে চার মেরে দলকে শিরোপা জেতান রবীন্দ্র জাদেজা।
এর আগে রবীন্দ্র ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পেলেও তা ধরে রাখতে পারেনি নিউ জিল্যান্ড। উইল ইয়ংকে (১৫) ফিরিয়ে ৫৭ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন বরুণ চক্রবর্তী। পরপর দুই ওভারে দুইবার জীবন পাওয়া রবীন্দ্র (৩৭) ও কেইন উইলিয়ামসনকে (১১) তুলে নিয়ে রানের চাকা টেনে ধরেন কুলদীপ যাদব।
টম ল্যাথামকে নিয়ে মিচেল দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করলেও তা স্থায়ী হয়নি। পঞ্চম উইকেটে ফিলিপস ও মিচেল জুটি ৫৭ রান যোগ করলেও স্পিনারদের দাপটে রান তুলতে বেশ হিমশিম খায়। ৩৪ রান করা ফিলিপস ফেরার পর ৯১ বলে ফিফটি তুলে নেন মিচেল। ডানহাতি এই ব্যাটারকে ফেরান মোহাম্মদ শামি। শেষ দিকে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৩৯ বলে ফিফটি তুলে নেওয়া ব্রেসওয়েলের ৫৩ রানের সুবাদে লড়াকু সংগ্রহ পায় কিউইরা।
[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে।]
মন্তব্য করুন: