স্পিনারদের প্রশংসায় রোহিত, স্যান্টনারের আক্ষেপ ২০ রানের
১০ মার্চ ২০২৫

স্পিনারদের দাপটে নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে রেকর্ড তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা ঘরে তুলেছে ভারত। টুর্নামেন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনে স্পিন আক্রমণের কৃতিত্ব দিচ্ছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। অন্যদিকে শিরোপা লড়াইয়ে হেরে ২০ রান কম করার আক্ষেপ ঝড়েছে নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারের কণ্ঠে।
রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে টুর্নামেন্টের মূল আয়োজক পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে রাজি না হওয়া ভারত তাদের সব ম্যাচই খেলেছে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের স্পিন সহায়ক পিচে। আগের ম্যাচগুলোর মতো রোববারের ফাইনালেও মূল পার্থক্যটা গড়ে দেন স্পিনাররাই।
ভারতীয় স্পিনারদের ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে রান তুলতে হিমশিম খাওয়া কিউইরা ৭ উইকেটে ২৫১ রান তুলতে পারে। চার স্পিনার – বরুণ চক্রবর্তী, কুলদীপ যাদব, অক্ষর প্যাটেল ও রবীন্দ্র জাদেজা মিলে ৩৮ ওভার বল করে মাত্র ১৪৪ রান দেন এবং ৫টি উইকেট শিকার করেন।
রান তাড়ায় অধিনায়ক রোহিতের আগ্রাসী শুরুর পর ৪ উইকেট ও এক ওভার বাকি থাকতে ম্যাচ নিজেদের করে নেয় ভারত।
ম্যাচ শেষে স্পিনারদের প্রশংসায় ভাসিয়ে রোহিত বলেন, “শুধু ফাইনাল নয়, পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই আমাদের স্পিনাররা দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে। যখন আপনি এই ধরনের পিচে (স্পিন সহায়ক উইকেট) খেলেন তখন অনেক প্রত্যাশা থাকে। কিন্তু তারা কখনোই হতাশ করেনি।”
গ্রুপ পর্বের নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে প্রথমবারের মতো আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে খেলতে নামা বরুণ ৫ উইকেট শিকার করেন। শিরোপা লড়াইয়ে কিউইদের দুটি পঞ্চাশোর্ধ জুটি ভেঙে দলকে স্বস্তিও এনে দেন এই রহস্য স্পিনার। তিন ম্যাচ খেলে শিকার করেন ৯ উইকেট।
একই সঙ্গে অফ-ব্রেক, লেগ-ব্রেক, গুগলি ও ক্যারম বল করতে পারা বরুণকে নিয়ে আলাদা করে ভারত অধিনায়ক বলেন, “বরুণের বোলিংয়ে আলাদা একটা বৈচিত্র্য আছে। সে প্রথমে একাদশে ছিল না। কিন্তু নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ উইকেট নেওয়ার পর আমরা তার সামর্থ্যের প্রমাণ পেয়েছি এবং সেটাকে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিই।”

ভারতীয় স্পিনারদের দাপটে ১১-৪০ ওভারের ভেতর কেবল ১০৩ রান তুলতে পারে নিউ জিল্যান্ড
“এটা আমাদের জন্য ভালো একটি টুর্নামেন্ট ছিল। আজ আমরা ভালো খেলেছি। কিন্তু আরও ভালো দল আমাদের হারিয়েছে।”
মাঝের ওভারগুলোতে ব্যাটাররা ভারতের স্পিনারদের সামলাতে না পারায় তা ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেয় বলে মনে করা কিউই অধিনায়ক বলেন, “পাওয়ারপ্লের পর আমরা কয়েকটি উইকেট হারাই এবং তারা আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। তারা যেভাবে খেলেছে তার কৃতিত্ব দিতেই হয়। তাদের স্পিন আক্রমণ বিশ্বমানের। আমরা যা চেয়েছিলাম তার চেয়ে হয়তো ২০ রান কম করেছি।”
শিরোপা লড়াইয়ের আগে নিউ জিল্যান্ডের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে আসে চোটের কারণে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ম্যাট হেনরির ছিটকে যাওয়া। এছাড়াও ব্যাটিংয়ের সময় পাওয়া চোটের কারণের ফিল্ডিংয়ে নামতে পারেননি অভিজ্ঞ কেইন উইলিয়ামসন।
মন্তব্য করুন: