আনকোরা নিউ জিল্যান্ডের কাছে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশড পাকিস্তান
৫ এপ্রিল ২০২৫

আইপিএলে খেলতে যাওয়ার কারণে নিউ জিল্যান্ডের ছিল না মূল দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়। কিন্তু আনকোরা এই দলের সঙ্গেই পেরে উঠল না পাকিস্তান। বেন সিয়ার্সের পেস তোপে তারা হেরে গেছে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতেও। বৃষ্টি বিঘ্নিত তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি ৪৩ রানে জিতে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছে কিউইরা।
শনিবার মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে বৃষ্টির কারণে ম্যাচ নেমে আসে ৪২ ওভারে। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ২৬৪ রান তোলে নিউ জিল্যান্ড। জবাবে সিয়ার্সের ৫ উইকেট শিকারে ২ ওভার আগে ২২১ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান।
বল হাতে নিউ জিল্যান্ডের হয়ে অনন্য কীর্তি গড়েন সিয়ার্স। দেশটির প্রথম বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে টানা দুই ম্যাচে ৫ উইকেট শিকারের রেকর্ড করেন ডানহাতি এই পেসার। এর আগে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৫৯ রানের বিনিময়ে নেন ৫ উইকেট। দুই ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরাও হয়েছেন তিনি।
রান তাড়ায় শুরুতেই চোয়ালে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন ইমাম-উল-হক। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে আবদুল্লাহ শফিককে নিয়ে অর্ধশত রানের জুটি গড়েন বাবর আজম। ৫৬ বলে ৩৩ রান করা শফিককে ফিরিয়ে ৬৮ রানের এই জুটি ভেঙে উইকেট শিকারের শুরু করেন সিয়ার্স।
ইমামের কনকাশন বদলি হিসেবে ক্রিজে এসে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি উসমান খান। তিনি ফেরেন ১২ রান করে। খানিকবাদেই সাজঘরের পথ দেখেন ৫৮ বলে ৫০ রান করা বাবরও। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে থাকা দলকে টেনে তুলতে সালমান আলী আগাকে নিয়ে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু সিয়ার্সের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সালমান (১১) ফিরলে এই জুটি থেকে আসে ২৭ রান।
এরপর সিয়ার্স ও জ্যাকব ডাফির পেস তোপে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৪০তম ওভারের শেষ বলে অলআউট হয় পাকিস্তান। দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন রিজওয়ান। ৫ উইকেট শিকার করতে ৯ ওভারে ৩৪ রান খরচ করেন সিয়ার্স।
এর আগে ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো হয়নি নিউ জিল্যান্ডের। উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ১৩ রান। তবে দ্বিতীয় উইকেটে হেনরি নিকোলসকে নিয়ে ৭৮ রানের জুটি গড়ে দলকে টেনে তোলেন রিচ মারিউ। ৩১ রান করা নিকোলসের বিদায়ে এই জুটি ভাঙে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে ফিফটি তুলে নিয়ে মারিউ ফেরেন ৬১ বলে ৫৮ রান করে।
দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর চতুর্থ উইকেটে ৬১ রানের জুটি গড়েন ড্যারিল মিচেল ও টিম সাইফার্ট। তবে কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। ছয় বছর পর ওয়ানডে খেলতে নামা সাইফার্ট ফেরেন ২৬ রান করে। মিচেলের ইনিংস থামে ৪৩ রানে।
শেষ দিকে অধিনায়ক মাইকেল ব্রেসওয়েলের ম্যাচসেরা ঝড়ো ৫৯ রানের ইনিংসে বড় সংগ্রহ পায় নিউ জিল্যান্ড।
আইপিএলের কারণে সাদা বলের নিয়মিত অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার, রাচিন রবীন্দ্র, ডেভন কনওয়ে ও গ্লেন ফিলিপসের মতো খেলোয়াড়রা এই সিরিজে না থাকায় কিছুটা শক্তি হারিয়েছিল নিউ জিল্যান্ড। সিরিজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন কেইন উইলিয়াসনও। এরপর ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে চোটের কারণ ছিটকে যান টম ল্যাথাম। প্রথম ম্যাচের পর চোটের কারণে সিরিজ শেষ হয়ে যায় মার্ক চ্যাপম্যানেরও। তবে ব্রেসওয়েলের নেতৃত্বে খর্বশক্তির দল নিয়েও পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর ওয়ানডে সিরিজে তাদের হোয়াইটওয়াশ করল স্বাগতিকরা।
মন্তব্য করুন: