পাকিস্তানে কাজ করার পর কোচিংয়ের খায়েশ চলে গেছে গিলেস্পির

৭ এপ্রিল ২০২৫

পাকিস্তানে কাজ করার পর কোচিংয়ের খায়েশ চলে গেছে গিলেস্পির

পাকিস্তানের টেস্ট দলের দায়িত্ব নিয়ে প্রথমবারের মতো কোনো জাতীয় দলের হেড কোচের ভূমিকা পালন করেছিলেন জেসন গিলেস্পি। কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) অপেশাদারিত্বের কারণে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই পেসার। এবার জানিয়েছেন, নিজ দেশ থেকে ডাক এলেও পূর্ণকালীন কোচিং পেশায় আর ফিরতে চান না তিনি।

উইজডেনর ক্রিকেট উইকলি পডকাস্টে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গিলেস্পি জানান, পাকিস্তান দলের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তার ১৫ বছরের কোচিং ক্যারিয়ার নিয়ে ধারণা বদলে গেছে।

এই মুহূর্তে আমি নিশ্চিত নই যে, আমি পূর্ণকালীন কোচিংয়ে আগ্রহী। এমনকি অস্ট্রেলিয়া ডাকলেও না, আমি আগ্রহী নই।

২০২৪ সালের এপ্রিলে পাকিস্তান টেস্ট দলের প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ পান গিলেস্পি। পরে সাদা বলের কোচ গ্যারি কার্স্টেন পদত্যাগ করলে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য দেশটির সীমিত ওভারের দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তার অধীনে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ২২ বছর পর ওয়ানডে সিরিজ জেতে পাকিস্তান।

তবে মাঠের এই সাফল্য গিলেস্পির হতাশা কমাতে পারেনি। পিসিবির অভন্তরীণ রাজনীতি কোচিং পেশার প্রতি তার স্বাদ নষ্ট করে দিয়েছে।

পাকিস্তানে কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা আমার কোচিংয়ের প্রতি ভালোবাসা নষ্ট করে দিয়েছে। আমি সত্যি বলতে হতাশ হয়েছি যেভাবে সবকিছু শেষ হয়েছে। এখন ভাবতে বাধ্য হচ্ছি আসলে আমি আর পূর্ণকালীন কোচিং করতে চাই কি না।

তবে শুধু সংক্ষিপ্ত মেয়াদে কাজ কিংবা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের পরামর্শক হিসেবে কাজ করতে আগ্রহের কথা জানান গিলেস্পি।

আমি লিগগুলোতে কোচিং বা পরামর্শকের মতো স্বল্পমেয়াদি কাজে আগ্রহী। কিন্তু পূর্ণকালীন কোচিংয়ের যে ধকলতা এখন আর আমার পরিকল্পনায় নেই।

গিলেস্পির এই মন্তব্য এমন সময়ে এলো যখন পাকিস্তান ক্রিকেটে বেশ বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নতুন কোচ আকিব জাভেদের অধীনে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে তারা। এরপর খর্বশক্তির নিউ জিল্যান্ডের কাছে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি সিরিজে স্রেফ উড়ে গেছে দেশটি।

মন্তব্য করুন: