ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ অদ্ভূতুড়ে ২ আউট

৯ এপ্রিল ২০২৫

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ অদ্ভূতুড়ে ২ আউট

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) খেলা চলছিল গুলশান ক্রিকেট ক্লাব অবনমনের শঙ্কায় থাকা শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের মধ্যে। গুলশানকে অল্পতে আটকে রেখে জয়ের ভালো সম্ভাবনা ছিল শাইনপুকুরের। কিন্তু তাদের দুই ব্যাটার অদ্ভুতভাবে স্টাম্পিংয়ে আউট হলে ম্যাচ হেরে যায় তারা, যা নিয়ে জন্ম দিয়েছে সন্দেহের।

বুধবার মিরপুর শের--বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ১৭৮ রানে অলআউট হয় গুলশান। জবাবে ৪৩ ওভারে ১৭৩ রানে গুটিয়ে যায় শাইনপুকুর।

রানের এই জয়ে ১০ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগ নিশ্চিত করেছে কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের গুলশান। অন্যদিকে রেলিগেশন লিগে চলে গেছে শাইনপুকুর।

আলোচিত আউট দুটির একটি হয় শাইনপুকুর ইনিংসের ৩৬তম ওভারে। বাঁহাতি স্পিনার নিহাদ উজ জামানের বল ক্রিজ ছেড়ে অনেকটা বেরিয়ে খেলার চেষ্টা করেন রহিম আহমেদ। বল বেশ বাইরে থাকলেও সেটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেননি ১৮ রানে থাকা এই ব্যাটার। বল মিস করলেও আর ক্রিজে ফেরার কোনো চেষ্টাই করেননি তিনি। সোজা ড্রেসিং রুমের দিকে হাঁটা ধরেন শাইনপুকুরের এই লোয়ার-অর্ডার ব্যাটার।

তখনও জয় থেকে ৩৬ রান দূরে ছিল শাইনপুকুর। হাতে ছিল উইকেট। পরের ওভারে আরেকটি উইকেটের পতন হলে বিপদ আরও বাড়ে তাদের। কিন্তু ১১ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা শরিফুল ইসলামের ব্যাটে জয়ের দিকে এগুতে থাকা তারা। তবে তা শেষ করে দেন দলের উইকেটকিপার-ব্যাটার মিনহাজুল আবেদিন সাব্বির।

নাঈম ইসলামের করা ৪৪তম ওভারের প্রথম বলে ক্রিজ ছেড়ে এগিয়ে আসেন। কিন্তু অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে করা ডেলিভারির কাছে যাওয়া বা শট খেলার কোনো চেষ্টাই করেননি ব্যাটার। ক্রিজের বাইরে গিয়ে হাঁটু গেড়ে বসে বল ছেড়ে দেন না খেলেই।

গুলশানের উইকেটকিপার বল গ্লাভসে নিয়ে প্রথম দফায় স্টাম্পে লাগাতে পারেননি। কিন্তু তখনও ক্রিজে ব্যাট ঢোকানোর কোনো চেষ্টা করেননি সাব্বির। পরে দ্বিতীয় দফায় স্টাম্প ভেঙে দেন উইকেটকিপার।

এ ঘটনায় বিস্মিত হয়ে এক ধারাভাষ্যকার বলেন, আমি আসলে এখনও বুঝতে পারছি না ব্যাটার কেনো ব্যাটটা ক্রিজে নিলেন না। এখনও নিচ্ছেন না।”

একাধিকবার সুযোগ পেয়েও সাব্বিরের নিজের উইকেট বাঁচাতে না চাওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে। ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞ ব্যাটার শামসুর রহমান নিজের ফেইসবুকে সেটি শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, “সিরিয়াসলি শেইম!”

সন্দেহজনক দুই স্টাম্পিং নিয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান ডিপিএলের সমন্বয়ক সাব্বির আহমেদ রুবেল।

এগুলো পুরোপুরি নির্ভর করে ম্যাচ রেফারির ওপর। আম্পায়াররা তাদের ম্যাচ রিপোর্ট দেবে। ম্যাচ রেফারি একটা রিপোর্ট করবে। এরপর যদি কোনো অভিযোগ আনার বিষয় থাকে, তখন অ্যান্টি করাপশন ইউনিট দেখবে।

মন্তব্য করুন: