মুখ খোলার হুমকি দিয়ে আরও এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হৃদয়
১৩ এপ্রিল ২০২৫

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) শেষ রাউন্ডে মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচে আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন তাওহিদ হৃদয়। ম্যাচ শেষে সংবাদ মাধ্যমের সামনে আম্পায়ারদের ভুল হয়েছে দাবি করায় তার শাস্তি দ্বিগুণ হয়েছে। আরও এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে মোহামেডান অধিনায়ককে। একই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আর্থিক জরিমানাও।
শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আবাহনীর ব্যাটিং ইনিংসের অষ্টম ওভারের প্রথম বলে এলবিডাব্লিউর আবেদন করে মোহামেডান। কিন্তু তাতে সাড়া দেননি আম্পায়ার তানভির আহমেদ। সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পেরে সেখানে প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে হাতের সোয়েট ব্যান্ড খুলে মাটিতে ছুড়ে মারেন বোলার ইবাদত হোসেন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে যান লেগ আম্পায়ারে থাকা শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। একপর্যায়ে টিভি সম্প্রচারে আইসিসি এলিট প্যানেলভুক্ত এই আম্পায়ারকে বলতে শোনা যায়, “তর্ক করতে চাইলে মাঠের বাইরে করবা। এখানে নয়।”
এসময় আঙুল উঁচিয়ে শরফুদ্দৌলাকে কিছু একটা বলতে দেখা যায় মোহামেডান অধিনায়ক হৃদয়কে। এগিয়ে এসে তাকে সরিয়ে নেন সতীর্থ মেহেদী হাসান মিরাজ। আম্পায়ারকে জড়িয়ে ধরে সরিয়ে নেন দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। ক্রিজে থাকা আবাহনী অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও জাতীয় দলের সতীর্থ হৃদয়কে শান্ত করার চেষ্টা করেন।
ম্যাচ শেষে সেই ঘটনা নিয়ে ঘটনা নিয়ে হৃদয় বলেন, “ঘটনা যদি অন্যদিকে যায়, আমি মুখ খুলব ইনশা আল্লাহ।… যেটা ঘটেছে, সবকিছু ব্যাখ্যা করতে পারব না। কিন্তু হিট অব দ্য মোমেন্টে অনেক কিছু হয়। তারাও ভুল করেন, কিন্তু আমার কাছে যেটা মনে হয়, তারা ভুল করতেই পারেন, মানুষমাত্রই ভুল করে, আমরাও করব। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, ভুলটা স্বীকার করা উচিত, আমি যদি ভুল করি, আমিও স্বীকার করব। কিন্তু আপনি যদি ভুল স্বীকার না করে বলেন, এটা ভুল নয়, তাহলে হবে না।”
“তিন আন্তর্জাতিক আম্পায়ার, তাকে আমরা সম্মান করি। আমরাও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। এমন ম্যাচে দুই-একটা সিদ্ধান্ত অনেক বড় ব্যবধান গড়ে দিতে পারে।”
গণমাধ্যমের সামনে হৃদয়ের দেওয়া বক্তব্য নিয়ে রোববার আম্পায়ারদের সঙ্গে আবারও বৈঠকে বসেন ম্যাচ রেফারি। সেখানে বিসিবির আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে হৃদয়কে নতুন করে আরেক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। সঙ্গে যোগ করা হয় ৮০ হাজার টাকার অর্থদণ্ডও।
ফলে সুপার লিগের প্রথম দুই ম্যাচে হৃদয়কে ছাড়াই মাঠে নামতে হবে মোহামেডানকে। নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবাল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ানোয় দলের নেতৃত্ব পেয়েছিলেন হৃদয়।
মন্তব্য করুন: