মিরাজ-তাইজুলের লড়াই ম্লান করে জিতল জিম্বাবুয়ে
২৩ এপ্রিল ২০২৫

১৭৪ লক্ষ্য দিয়েও মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে জয়ের আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নাটকীয় আর কিছু হয়নি। ৩ উইকেটের জয়ে দুই ম্যাচ সিরিজে এগিয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে।
এর আগে জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ডটি ছিল ১৬২ রানের। সেই জয়টি আসে ১৯৯৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে। অন্যদিকে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে চার বছর আর ১০ ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেল দেশটি। ২০২১ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আবু ধাবিতে তাদের সবশেষ জয়টি আসে।
বাংলাদেশকে সাড়ে ছয় বছর পর টেস্টে হারাল জিম্বাবুয়ে। ২০১৮ সালে নভেম্বরে একই ভেন্যুতে ১৫১ রানে জয়টি পেয়েছিল তারা।
বুধবার সিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিন সকালে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৫ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ফলে ম্যাচ জিততে জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৭৪ রান।
প্রথম ইনিংসের মতো এই ইনিংসেও ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয়ে আশা জাগান মিরাজ। একই সঙ্গে ডানহাতি এই অফস্পিনার ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো ম্যাচে ১০ উইকেট নেন, যা বাংলাদেশের যে কোনো বোলারের জন্য সর্বোচ্চ।
নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড গড়তে দলকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন ব্রায়ান বেনেট ও বেন কারেন। এই দুই ওপেনারের ব্যাটে সহজ জয়ের পথেই ছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু কারেনকে (৪৪) ফিরিয়ে ৯৫ রানের জুটি ভেঙে সেই পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান মিরাজ। চা বিরতির আগে আরও এক উইকেট তুলে নেন তাইজুল।
বিরতির পর সফরকারীদের আরও চেপে ধরেন মিরাজ ও তাইজুল। প্রথম ইনিংসে ফিফটি হাঁকানো শন উইলিয়ামসকে (৯) ফিরিয়ে এর শুরুটা করেন মিরাজ। এরপর তার শিকার হয়ে ফেরেন ৫৪ রান করা বেনেটও। অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনকে ফিরিয়ে দলের জয়ের সম্ভাবনা জাগান তাইজুল। পরের ওভারে দারুণ এক ডেলিভারিতে নিয়াশা মায়াবোর স্টাম্প ভাঙেন মিরাজ।
১৭ রানের ভেতর ৪ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই নিজেদের দিকে আনেন মিরাজ-তাইজুল। কিন্তু পাল্টা আক্রমণে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিতে থাকেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। দারুণ এক ডেলিভারিতে তাকে বোল্ড করে ক্যারিয়ারে ১২তম বারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেট নেন মিরাজ। কিন্তু শেষ ১৩ রান তুলতে আর কোনো উইকেট হারায়নি জিম্বাবুয়ে।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৭৩ রানে অলআউট হয়ে ৮২ রানের লিড পায় জিম্বাবুয়ে। সফরকারীদের বড় লক্ষ্য দেওয়ার আশা থাকলেও চতুর্থ দিনের ব্যাটিং ধসে তা আর বড় করতে পারেনি নাজমুল হাসান শান্তর দল।
আগামী সোমবার চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে মাঠে নামবে দু’দল।
[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে।]
মন্তব্য করুন: