সাদা বলে রানবন্যা বইয়ে দ্বিতীয় টেস্টের দলে বিজয়
২৪ এপ্রিল ২০২৫

টেস্টে ওপেনিং জুটির ক্রমাগত ব্যর্থতায় প্রভাব পড়ছে দলের পারফরম্যান্সে। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে নির্বাচকরা দলে নিয়েছেন এনামুল হক বিজয়কে, যিনি কিনা রানের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন ঘরোয়া ক্রিকেটের ভিন্ন ফরম্যাটের টুর্নামেন্টে। তবে এবারই প্রথম না। আগেও একবার ৫০ ওভারের টুর্নামেন্ট ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) রেকর্ড রান করার পর অভিজ্ঞ এই ওপেনারকে নেওয়া হয়েছিল টেস্ট দলে, কিন্তু খেলানো হয়নি ওয়ানডেতেই!
বুধবার রাতে দ্বিতীয় টেস্টের দল ঘোষণার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবির তরফ থেকে বলা হয়, “প্রথম টেস্টের দল থেকে দুটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা ওপেনিং ব্যাটার এনামুল হক বিজয় দলে ডাক পেয়েছেন।”
ওপেনার জাকির হাসানের জায়গায় দলে এসেছেন বিজয়। ২০২২ সালের পর আবার টেস্ট দলে ডাক পেলেন তিনি। অন্যদিকে পেসার নাহিদ রানার বদলে ডাক পেয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম।
চলতি ডিপিএলে ব্যাট হাতে রানের ফুলঝুরি ফুটছে বিজয়ের ব্যাট থেকে। আছেন রান-সংগ্রাহকের তালিকায় সবার ওপরে। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের অধিনায়ক এখন পর্যন্ত ১৪ ইনিংসে ৭৯ দশমিক ৪৫ গড়ে ৮৭৪ রান করেছেন। চারটি ফিফটির সঙ্গে হাঁকিয়েছেন চারটি সেঞ্চুরিও। কদিন আগেই দেশের ক্রিকেটের প্রথম ব্যাটার হিসেবে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৫০টি শতক হাঁকানোর কীর্তি গড়েন ৩২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
এর আগে ২০২২ সালের ডিপিএলের রেকর্ড ১ হাজার ১৩৮ রান করার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে কেবল টেস্ট ও টি-টুয়েন্টিতে খেলার সুযোগ পান এই বিজয়। এক টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে করেন ১৪ রান। এরপর আর এই ফরম্যাটে খেলার সুযোগ পাননি তিনি। টি-টুয়েন্টিতেও ছিলেন ব্যর্থ। ঘরোয়া ৫০ ওভারের ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফর্ম করলেও সেই সফরে একটি ওয়ানডে খেলারও সুযোগ পাননি বিজয়। তখন দল নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর নেতৃত্বাধীন নির্বাচক প্যানেল।
গত বছর ৪ ডিসেম্বর শেষ হওয়া দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের আসর জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) ১৪ ইনিংসে ৭০০ রান করে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান-সংগ্রাহক হয়েছিলেন বিজয়। কিন্তু সেই মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে হওয়া টেস্ট সিরিজের দলে ডাক পাননি তিনি। এবার বিসিবির আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে এটাই প্রমাণ হয় যে, কেবল সাদা বলের ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফর্ম করেই তিনি লাল বলের ক্রিকেটের জন্য জাতীয় দলে বিবেচিত হয়েছেন।
এনসিএলের সবশেষ আসরে ১২ ইনিংসে ৭৮ দশমিক ৫০ গড়ে ৭৮৫ রান করে সর্বোচ্চ রান-সংগ্রাহক হন অমিত হাসান। কিন্তু সিলেট বিভাগের হয়ে খেলা এই ডানহাতি ব্যাটার জাতীয় দলের আশেপাশেও নেই। টেস্টে দীর্ঘদিন ধরে চলমান ব্যাটারদের রানখরার পরেও নতুনদের সুযোগ দিতে যেন আগ্রহ নেই গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচক প্যানেলের।
মন্তব্য করুন: