সাদমানের সেঞ্চুরিতে লিড নেওয়ার পথে বাংলাদেশ

২৯ এপ্রিল ২০২৫

সাদমানের সেঞ্চুরিতে লিড নেওয়ার পথে বাংলাদেশ

এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে শতরানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে দলকে ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন সাদমান ইসলাম। এরপর প্রায় চার বছর পর সাদা পোশাকের ক্রিকেটে তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। বাঁহাতি এই ব্যাটারের দৃঢ়তায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়ার পথে আছে বাংলাদেশ।

চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে মঙ্গলবার ৩ উইকেটে ২০৫ রান নিয়ে চা বিরতিতে গেছে স্বাগতিকরা। এখনও তারা পিছিয়ে আছে ২২ রানে। ৩১ ওভারের এই সেশনে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তুলেছে ১০০ রান।

১০৫ রানে নিয়ে বিরতির পর খেলা শুরু হলে ষষ্ঠ ওভারেই সাজঘরের পথ দেখেন বিজয়। ৩৯ রান করা এই ব্যাটারকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলে ১১৮ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন ব্লেসিং মুজারাবানি। এরপর জিম্বাবুয়ের ওপর কিছুটা আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে শুরু করেন সাদমান ও মুমিনুল হক।

রিচার্ড এনগাভারার ওভারে কাভার ড্রাইভে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১৪২ বলে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন সাদমান। একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ২০২১ সালের জুলাইয়ে আগের শতকটি হাঁকিয়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। 

সাদমান ও মুমিনুলের ব্যাটে ভালো অবস্থানে থেকেই দ্বিতীয় সেশন শেষ করার পথে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ দিকে পরপর দুই বলে ক্রিজে থিতু হওয়া এই দুই ব্যাটারকে হারায় তারা। হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিড-উইকেটে ক্যাচ দেন মুমিনুল (৩৩)। তার বিদায়ে শেষ হয় দ্বিতীয় উইকেটে ৭৬ রানের জুটিটি। পরের ওভারের প্রথম বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন সাদমান। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে তিনি ফেরেন ১২০ রান করে।

২ রান নিয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত ও ৯ রান নিয়ে মুশফিকুর রহিম শেষ সেশনের খেলা শুরু করবেন।

এর আগে দিনের প্রথম বলেই জিম্বাবুয়ের শেষ উইকেট তুলে নিয়ে তাদের ২২৭ রানে গুটিয়ে দেন তাইজুল ইসলাম। মুজারাবানিকে কট বিহাইন্ড করিয়ে বাঁহাতি এই স্পিনার ইনিংসে নিজের ষষ্ঠ শিকারটি ধরেন।

বিজয়-সাদমানের কল্যাণে প্রায় আড়াই বছর পর টেস্টে শতরানের উদ্বোধনী জুটির দেখা পায় বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে সবশেষ শতরানের জুটিটি আসে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। ভারতের বিপক্ষে একই মাঠে সেবার ১২৪ রানের জুটি গড়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসান। এরপর মাঝের ৩২ ইনিংসে পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি আসে মাত্র দুটি।

মন্তব্য করুন: