বাংলাদেশের সব কিছুই আমি দেখেছি : লিওনেল মেসি

৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

বাংলাদেশের সব কিছুই আমি দেখেছি : লিওনেল মেসি

বিশ্বকাপ জেতার ঘোর এখনও কাটেনি লিওনেল মেসির। আর্জেন্টাইন দৈনিক ‘ওলে’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিশ্বকাপের খুঁটিনাটি নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। জাতীয় ও ক্লাব দলে নিজের ভবিষ্যতের পাশপাশি এই সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে তো বাংলাদেশ প্রসঙ্গও।

বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রসঙ্গে

লিওনেল মেসি: এখন পর্যন্ত আমার জীবনের সেরা উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্ত এটি। যা এখনও আমাকে আবেগপ্রবণ করে তোলে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সব ভিডিও দেখি আমি। খুবই ভালো লাগে, যখন ওই মুহূর্তগুলো সামনে চলে আসে।

 আমার মনে হচ্ছিলো ট্রফিটি আমার কাছেই আসতে চাচ্ছে।  ছবি: সংগৃহীত

ট্রফি সামনাসামনি দেখার পর যা মনে হয়েছিল

মেসি: যখন খুব কাছে থেকে ট্রফিটি দেখেছি, মনে হচ্ছিল ট্রফিটি আমার কাছেই আসতে চাচ্ছে। স্পর্শের জন্য বা একটি চুম্বনের জন্য। তবে এর পেছনে ছিল অনেক ত্যাগ, পরাজয় এবং কঠিন মুহূর্ত, যা আমাকে অতিক্রম করতে হয়েছে।

বিছানায়  ট্রফিসহ ছবি প্রসঙ্গে

মেসি: যেদিন দেশে ফিরেছি, সেদিন আমি সর্বোচ্চ এক বা দুই ঘন্টা ঘুমিয়েছিলাম। সেই রাতে কাপটি আমার সাথেই ঘুমিয়েছিল। আমি জানিনা ট্রফিটি কিভাবে এসেছে আমার বিছানায়; কিন্তু সবশেষে ওটা আমার বিছানাতেই ছিল। । তারপর ডি পল আমার ঘরে এসে বলল, ট্রফিটির সাথে একটা ছবি তুলতে।

সৌদি আরবের সাথে ম্যাচ সম্পর্কে

মেসি: আমি খুব ভয় পেয়েছিলাম কারণ খেলাটা আমাদের প্রত্যাশা মতো হয়নি। সৌদির সাথে ম্যাচটি আমি সবসময় ভুলে যেতে চাইব। কিন্তু আমরা মেক্সিকোর বিপক্ষে আমাদের আসল শক্তি প্রদর্শন করেছিলাম আর ম্যাচ জিতে যাই।

ফাইনালে টাইব্রেকারে শেষ পেনাল্টির আগে

মেসি: ডিয়েগো (ম্যারাডোনা) এবং আমার দাদির কথা ভাবছিলাম। ঈশ্বরের কাছে চেয়েছিলাম, মনতিয়েল যেন সব কিছু ভালোভাবে শেষ করে আসতে পারে। জানি না কেন, তবে মনে হচ্ছিল, আমি ট্রফিটি পাচ্ছি। নিশ্চিত ছিলাম যে, ঈশ্বর আমাকে বিশ্বকাপ উপহার দিবে।

 সবকিছু নির্ভর করছে ক্যারিয়ার কেমন হবে তার ওপর।  ছবি: সংগৃহীত

২০২৬ বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে

মেসি: বয়সের কারণে এটি কঠিন হবে। আমার বয়স এখন ৩৬  বছর প্রায়। দেখতে চাই, এখান থেকে ক্যারিয়ার কোন দিকে যায়। আমি খেলতে ভালোবাসি। শরীর যতদিন সুস্থ থাকে, ততদিন খেলে যাব। আর সব কিছু নির্ভর করছে আমার ক্যারিয়ার কেমন হবে, তার ওপর।

বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি নিয়ে

মেসি: ফাইনালের সব কিছু আমি রেখে দিয়েছি। জার্সি, বুট সহ সব। এগুলো এখন ফেডারেশনের সম্পত্তি। কিন্ত মার্চে এসব আমি বার্সেলোনায় নিয়ে যাব। বিশ্বকাপ ফাইনালের জার্সিতে, বুটে, বলে আমার স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আমার কাছে রেখে দিব সব।

আর্জেন্টিনাকে নিয়ে বাংলাদেশের সমর্থকদের উন্মাদনা প্রসঙ্গে 

মেসি: হ্যাঁ, বাংলাদেশের সব কিছুই আমি দেখেছি। সবাই জার্সি পরা ছিল। আমাকে সফি মার্টিনেজ (আর্জেন্টাইন সাংবাদিক) এই ছবিটা ফাইনালের আগেই দেখিয়েছে। বিশ্বের সব জায়গায় আর্জেন্টিনার ১০ নম্বার জার্সি দেখতে পাওয়াটা খুব চমৎকার ব্যাপার।

পিএসজির সংবর্ধনা ও কিলিয়ান এমবাপ্পে নিয়ে

মেসি: অনেক সুন্দর ছিল সব কিছু। আমার খুব লজ্জা লাগছিল। প্যারিসের মানুষের ভালোবাসা ও স্বীকৃতি পেয়ে আমি খুব খুশি। আমি কিলিয়ানের সাথেও ফাইনাল নিয়ে কথা বলেছি। খেলা সম্পর্কে, উদযাপন সম্পর্কে। বলেছি, সেই দিনগুলিতে আর্জেন্টিনায় কীভাবে জীবনযাপন করা হয়েছিল।

আর্জেন্টিনা জাতীয় দল নিয়ে ভাবনা

মেসি: আমি এই দলটির সাথে আরও কিছু দিন থাকতে চাই। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হিসেবে উপভোগ করার জন্য; যা আমি আমার পুরো ক্যারিয়ারে চেয়েছিলাম। ক্যারিয়ারে আমি সবকিছু জিতেছি, এটা বলতে পারা অসাধারণ কিছু।

সামনের চ্যাম্পিয়নস লিগ ও কোপা আমেরিকা নিয়ে

মেসি: আর কিছু জেতার বাকি নেই। তবে আবারও চ্যাম্পিয়নস লিগ ও কোপা আমেরিকা জিতলে দারুণ হবে।

 

স্প্যানিশ থেকে অনূদিত

মন্তব্য করুন: