হলান্দ-এমবাপ্পেকে পেছনে ফেলে টানা দ্বিতীয়বার ফিফার বর্ষসেরা মেসি
১৬ জানুয়ারি ২০২৪
ম্যানচেস্টার সিটিকে ট্রেবল জেতানো আর্লিং হলান্দ এবং পিএসজির হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করা কিলিয়ান এমবাপ্পেকে পেছনে ফেলে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি।
মঙ্গলবার লন্ডনে এক জমকালো অনুষ্ঠানে বর্ষসেরা খেলোয়াড়, কোচ, গোলরক্ষকসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ফিফার বর্ষসেরাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। তবে অনুষ্ঠানে মেসি উপস্থিত থাকতে থাকতে না পারায় তার হয়ে ‘দ্য বেস্ট ফিফা মেনস প্লেয়ার’ পুরস্কারটি নেন ফ্রান্সের কিংবদন্তি ফুটবলার থিয়েরি অঁরি।
২০১৬ সালে নতুন নামে চালু হওয়া এই পুরস্কার আর্জেন্টাইন মহাতারকা জিতলেন তৃতীয় বার। ২০১০ থেকে ২০১৫ - এই ছয় বছর ফ্রান্স ফুটবলের সঙ্গে ফিফা যৌথভাবে “ফিফা ব্যলন ডি’অর” পুরস্কার দেয় যা মেসি জেতেন চার বার। এর আগে ২০০৯ সালে ফিফার বর্ষসেরাও নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ফিফা আর ফ্রান্স ফুটবলের বর্ষসেরার পুরস্কার আলাদাভাবে হিসেব করলে মেসি রেকর্ড ৮ বার ব্যালন ডি’অর এবং রেকর্ড ৮ বার ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কার পেয়েছেন।
কাতার বিশ্বকাপের পরের দিন অর্থাৎ ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের পারফরমেন্সের ওপর ভিত্তি করে ২০২৩ সালের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত করা হয়েছে। বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচনের জন্য গত সেপ্টেম্বরে ফিফার বিশেষজ্ঞ প্যানেল প্রথমে ১২ জনের তালিকা দিয়েছিল। সেখান থেকে ফিফার ওয়েবসাইটে জাতীয় দলের কোচ, অধিনায়ক, ফুটবল সাংবাদিক ও সমর্থকদের দেওয়া ভোটে গত ডিসেম্বরে মেসি, হলান্দ ও এমবাপ্পের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়।
বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সাবেক ক্লাব পিএসজিকে লিগ ওয়ানের শিরোপা জেতাতে অবদান রাখেন মেসি। গোলের দিক দিয়ে শীর্ষে না থাকলেও ফরাসি লিগে নিজের দ্বিতীয় মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলে সহায়তা করেন। এরপর গত জুলাইয়ে প্যারিসের ক্লাবটি ছেড়ে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন এই তারকা ফুটবলার। তার হাত ধরেই লিগস কাপ চ্যাম্পিয়ন হয় মেজর লিগ সকারের দলটি, যা ক্লাবের ইতিহাসের প্রথম কোনো শিরোপা। আসরে সাত ম্যাচে মেসি গোল করেন ১০টি।
কাতার বিশ্বকাপে মেসির জাদুকারি পারফরমেন্সে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফির ছোঁয়া পায় আর্জেন্টিনা। ফলে ২০২২ সালের ফিফা দ্য বেস্টের পুরস্কারও ঘরে তুলেছিলেন আর্জেন্টাইন জাদুকর।
ম্যানচেস্টার সিটিকে তাদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ট্রেবল জেতাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখা হলান্দ হয়েছেন দ্বিতীয়। ২০২২-২০২৩ মৌসুমে সিটিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ ও চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জেতাতে ৫৩ ম্যাচে ৫২ গোল করেন নরওয়ের এই স্ট্রাইকার। আর সেরা ফুটবলার নির্বাচিত সময়ে তিনি ৩৩ ম্যাচে ২৮টি গোল করেন।
এবারের পুরস্কারের জন্য মেসি ও হলান্দের মধ্যে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। ভোটাভুটিতে দুজনেরই স্কোরিং পয়েন্ট ছিল সমান ৪৮। কিন্তু ফিফার নিয়ম অনুযায়ী জাতীয় দলের অধিনায়কদের পছন্দের তালিকায় সবচেয়ে বেশি প্রথম অবস্থানে থাকায় শেষ পর্যন্ত মেসির হাতেই ওঠে বর্ষসেরার খেতাব। শীর্ষ তিনে থাকা এমবাপ্পের স্কোরিং পয়েন্ট ৩৫।
অন্যদিকে, মেয়েদের ফুটবলের বর্ষসেরা হয়েছেন স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী মিডফিল্ডার আইতানা বনমাতি। গত আগস্টে স্পেনকে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জেতাতে বেশ বড় অবদান রাখেন এই মিডফিল্ডার। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বলও জেতেন তিনি। এছাড়াও বার্সেলোনার হয়ে গত মৌসুমে বনমাতি লিগ শিরোপার পাশাপাশি জেতেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও স্প্যানিশ সুপার কাপ।
মন্তব্য করুন: