ক্লপ চলে গেলে শান্তিতে ঘুমাবেন গুয়ার্দিওলা
২৭ জানুয়ারি ২০২৪
বর্তমানে ফুটবল বিশ্বে সেরা কোচদের তালিকা করলে পেপ গুয়ার্দিওলা ও ইয়ুর্গেন ক্লপের নাম বেশ উপরের দিকেই থাকবে। মুখোমুখি দেখায় এই দুই কোচের ক্ষুরধার মস্তিষ্কের লড়াইটাও বেশ রোমাঞ্চকর। তবে এক দশকের বেশি সময় ধরে একে-অপরের সঙ্গে চলা তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাটার আপাতত অবসান হচ্ছে। মৌসুম শেষেই ইংল্যান্ড ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন ক্লপ। আর নিজের সেরা প্রতিপক্ষের হঠাৎ বিদায়ে মিশ্র অনুভূতি কাজ করছে গুয়ার্দিওলার মনে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে চলতি মৌসুম শেষে লিভারপুল ছাড়ার ঘোষণা দেন ক্লপ। খুব স্বাভাবিকভাবেই দিনভর ইংলিশ ফুটবলের সবচেয়ে আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে এটি।
শুক্রবার রাতে এফএ কাপের চতুর্থ রাউন্ডে টটনাম হটস্পারের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটি ১-০ গোলে জয় পায়। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সিটি কোচ গুয়ার্দিওলার কাছে তার বড় প্রতিপক্ষ ক্লপের আচমকা চলে যাওয়ার বিষয়ে অবাক হয়েছেন কি না জানতে চাওয়া হলে বলেন, “কিছুটা তো বটেই। তিনি সত্যিই অবিশ্বাস্য এক কোচ। তাকে আমি খুব কাছ থেকে জানি না। তবে তিনি অসাধারণ একজন মানুষ। (খবরটা শুনে) আমার মনে হচ্ছিল যেন তিনি ম্যানচেস্টার সিটিতেও আমাদের ছেড়ে যাচ্ছেন। কেননা, অনেক বছর ধরে লিভারপুল আমাদের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে।”
ডাগআউটে ক্লপ-গুয়ার্দিওলার প্রতিদ্বন্দ্বিতার শুরুটা হয় ২০১৩ সালে যখন গুয়ার্দিওলা বায়ার্ন মিউনিখের দায়িত্ব নেন। আর তখন বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কোচ ছিলেন ক্লপ। প্রথম দেখায় গুয়ার্দিওলার দলকে জার্মান সুপার কাপের ফাইনালে ৪-২ গোলে হারা ক্লপের শিষ্যরা। মোট ২৯ বার মুখোমুখি হয়ে ১২ ম্যাচে জয় পান ৫৬ বছর বয়সী ক্লপ, যা গুয়ার্দিওলার বিপক্ষে যে কোনো কোচের সবচেয়ে বেশি জয়। ক্লপের বিপক্ষে গুয়ার্দিওলার জয় ১১টি।
এরপর ২০১৫ সালে ক্লপ লিভারপুলের দায়িত্ব নেওয়ার পরের বছরই সিটির কোচ হিসেবে প্রিমিয়ার লিগে আসেন গুয়ার্দিওলা। তখন থেকে ২১ দেখায় ক্লপের জয় ৮ টিতে আর ৫৩ বছর বয়সী গুয়ার্দিওলার ৭টিতে।
“যখন তিনি ডর্টমুন্ডে ছিলেন এবং আমি বায়ার্নে ছিলাম, সেই থেকে ব্যক্তিগতভাবে তিনি ছিলেন আমার সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী। তার অভাববোধ হবে। ব্যক্তিগতভাবে আমি মিস করব তাকে। অবশ্য আমি কিছুটা খুশিও। কারণ এখন থেকে লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যাচের আগে একটু ভালোভাবে ঘুমাতে পারব। তাকে শুভকামনা জানাই।”
ভবিষ্যতে ক্লপ আবার কোচিংয়ে ফিরবেন বলে মনে করেন তিনটি ভিন্ন ক্লাবের হয়ে ট্রেবল জয়ী কোচ গুয়ার্দিওলা। বার্সেলোনায় নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে বলেন, “তিনি স্বীকার করবেন না, কিন্তু তিনি ফিরে আসবেন। সব কোচই (এক ক্লাবে) অনেক বছর কাজ করার পর ক্লান্ত বোধ করে, আমারও সেই অনুভূতি হয়েছিল। বার্সেলোনায় আমার ঠিক এমনটাই হয়েছিল, তাই আমি (ক্লপের বিষয়টা) বুঝতে পারছি।”
মন্তব্য করুন: