মেসির সেই ন্যাপকিন পেপার নিলামে উঠছে

১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

মেসির সেই ন্যাপকিন পেপার নিলামে উঠছে

শিরোনাম দেখে মনে হতেই পারে- ন্যাপকিন পেপারের আবার নিলাম কীসের? ওটা তো হাত-মুখ মুছে ফেলে দেওয়ার জিনিস। কিন্তু সেই ন্যাপকিন পেপারে যদি জড়িয়ে যায় লিওনেল মেসির নাম, তাহলে একটু ভাবার বিষয় আছে বৈকি। ১৩ বছর বয়সে একটি ন্যাপকিন পেপারেই যে বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী মহানায়ক!

কাতালান ক্লাব বার্সেলোনা থেকেই মেসির উত্থানপর্বের শুরু। ২০০০ সালে বার্সেলোনার ট্রায়ালে জাদুকরী ফুটবলে সবাইকে চমকে দেন ১৩ বছরের বালক মেসি। ট্রায়াল শেষে মেসি পরিবারের সঙ্গে রোজারিওতে ফিরে যান। হঠাৎ একদিন মেসির পরিবারকে দুপুরের খাবারের নিমন্ত্রণ জানান বার্সার তৎকালীন ক্রীড়া পরিচালক কার্লোস রেক্সাস। সেদিনই একটি ন্যাপকিন পেপারে বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন মেসি।

ন্যাপকিন পেপারের সেই চুক্তিতে লেখা ছিল, বার্সেলোনায় ১৪ ডিসেম্বর, ২০০০ সালে মিনগেলা, হোরাশিও আর বার্সার ক্রীড়া পরিচালক কার্লোস রেক্সাসের উপস্থিতিতে পূর্ণ দায়িত্বের সঙ্গে নির্দিষ্ট অঙ্কে লিওনেল মেসিকে সই করানোর ব্যাপারে একমত হওয়া গেল।

২০২১ সালে বার্সা ছাড়ার আগে ক্লাবটির হয়ে ৭৭৮ ম্যাচে ক্লাবের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৬৭২ গোল করেছেন মেসি। জিতেছেন ১০টি লা লিগা, ৪টি চ্যাম্পিয়নস লিগ। বার্সা-মেসির সম্পর্কের সেই বিখ্যাত দলিল এবার নিলামে উঠতে যাচ্ছে। আগামী মার্চে ব্রিটিশ অকশন হাউস বোনহামসের মাধ্যমে এটির নিলাম হবে। যার ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে ৩ লাখ পাউন্ড। বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ৪ কোটি ১৯ লাখ।

বোনহামসের একজন মুখপাত্র ইয়ান এহলিং বলেছেন, হ্যাঁ, এটি ন্যাপকিন পেপার। কিন্তু এটা সেই ন্যাপকিন পেপার, যেটার মাধ্যমে লিওনেল মেসির ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল। এটা বার্সার ভবিষ্যৎ আর মেসির জীবন পরিবর্তন করে দিয়েছিল।

মন্তব্য করুন: