কেউই মেসিকে কোচিং করাতে পারে না: মরিনিয়ো

১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

কেউই মেসিকে কোচিং করাতে পারে না: মরিনিয়ো

মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে ইতালিয়ান ক্লাব এএস রোমা থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর এখন অবসর সময় পার করছেন জোসে মরিনিয়ো। দীর্ঘ কোচিং ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ৯টি ভিন্ন ক্লাবের দায়িত্বে ছিলেন এই পর্তুগিজ কোচ। শিষ্য হিসেবে ফুটবল জগতের বেশ কিছু বড় তারকাকে পেলেও লিওনেল মেসিকে কখনও তার অধীনে পাননি। তবে আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই তারকার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ এখনও শেষ হয়নি বলে করছেন মরিনয়ো।

২৩ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে ৩ মৌসুম রিয়াল মাদ্রিদের ডাগআউটে কাটিয়েছেন মরিনিয়ো। সে সময় তার অধীনে ছিলেন ফুটবলের আরেক মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। আর রিয়ালের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনায় ছিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা মেসি। দীর্ঘ ১৫ বছর বার্সেলোনায় কাটানোর পর ২০২১ সালে তিনি কাতালান ক্লাবটি ছাড়েন। এরপর গত বছর যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রের দল ইন্টার মায়ামিতে।  

সম্প্রতি এক ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের কোচিং ক্যারিয়ার ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন মরিনিয়ো। সেখানেই মেসিকে কোচিং করানোর নিজের ইচ্ছার কথা জানান ‘দ্য স্পেশাল ওয়ান’ খ্যাত এই কোচ। তবে তার মতে, ফুটবলের সব প্রতিভা নিয়ে জন্ম নেওয়ায় মেসিকে কোচিং করানোর মতো কিছুই নেই।  

ইতালিয়ান ইউটিউবার ওহমের চ্যানেলে মরিনিয়ো বলেন, “আমি মেসিকে কখনো কোচিং করাইনি। আসলে কেউই মেসিকে কোচিং করাতে পারে না। এই ভাবনাটাই অযৌক্তিক। কারণ সে সবকিছু নিয়েই জন্মেছে। সে সবকিছু জানে। সে-ই বরং আপনাকে কিছু শেখাতে পারে। আপনি শুধু এটুকু বলতে পারেন, তাকে দলে পাওয়া আপনার জন্য সম্মানের।

৯টি ক্লাবে কোচিং করালেও নিজের চাহিদা মতো আরও কয়েকজন তারকা ফুটবলারকে নিজ দলে না পাওয়ার আক্ষেপের কথা জানিয়ে মরিনিয়ো বলেন, “ইন্টার মিলান ও রিয়াল মাদ্রিদে থাকতে আমি (দানিয়েলে) দে রসসিকে চেয়েছিলাম, কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। ইন্টারে আমি (ফ্রান্সেসকো) তত্তিকেও চেয়েছিলাম, যদিও সে সময় ওর বয়স হয়ে গিয়েছিল। এরপরেও ওকে পাইনি।

কোচ হিসেবে এখন পর্যন্ত ২৬টি ট্রফি জিতেছেন ৬১ বছর বয়সী মরিনিয়ো। যার মধ্যে রয়েছে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, স্প্যানিশ লা লিগা ও ইতালিয়ান সিরি আর মতো বড় শিরোপা। তবে মরিনিয়োর মতে, গত মৌসুমে রোমাকে জেতানো উয়েফা কনফারেন্স লিগ শিরোপাটি তাকে সবচেয়ে বেশি আনন্দ দিয়েছে

আমার অনেক দুর্দান্ত স্মৃতি ও অনেক খারাপ স্মৃতি রয়েছে। এসবের মধ্য থেকে একটিকে বেছে নিতে হলে আমি সবশেষটির কথা বলবরোমার হয়ে কনফারেন্স লিগ জয়। এটা আমার জেতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ট্রফি না–ও হতে পারে। কিন্তু হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর জিতেছি বলে এটা আমার আনন্দের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।

মন্তব্য করুন: