ইসরায়েলকে ফুটবলে নিষিদ্ধের দাবি ইরানের
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান বর্বরোচিত আক্রমণ ও গণহত্যার প্রতিবাদে ফিফার কাছে ইসরায়েলকে ফুটবলে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে ইরান। শনিবার এক বিবৃতিতে দেশটির ফুটবল ফেডারেশন এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইরান ফুটবল ফেডারেশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানায়, তারা বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে ইসরায়েল ফুটবল ফেডারেশনকে সব ধরনের ফুটবল কার্যক্রম থেকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে। এছাড়াও ফিফা ও এর সদস্যভুক্ত দেশগুলোকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানায়। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনের আক্রান্ত সাধারণ নাগরিকদের সহায়তার জন্য খাবার, পানীয়, ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের জন্যও ইরানের পক্ষ হতে আবেদন জানানো হয়।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের আক্রমণের পর গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে দেশটি। হামাসের হামলায় ১ হাজার ১৬০ জন ইসরায়েলি মারা যাওয়ার কথা জানায় ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, ইসরায়েল কর্তৃক ‘হামাস নির্মূল’ অভিযানে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৮ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
দেশ হিসেবে ইসরায়েলকে এখন পর্যন্ত কোনো স্বীকৃতি দেয়নি ইরান। এমনকি ইসরায়েলের অ্যাথলেটদের সঙ্গে দেশটির অ্যাথলেটদের কোনো প্রকারের যোগাযোগেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া রয়েছে। গত আগস্টে পোল্যান্ডের এক আসরে ইরানের এক ভারোত্তলক ইসরায়েলের এক প্রতিযোগীর সঙ্গে হাত মেলানোয় তাকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেশটির ভারোত্তলন ফেডারেশন। এই ঘটনায় দলের প্রধানকেও অব্যহতি দেওয়া হয়েছিল।
২০২১ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি দেশটির অ্যাথলেটদের পদক গ্রহনের সময় ইসরায়েলের যে কারোর সঙ্গে হাত না মেলানোর নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার স্কাই নিউজ এক প্রতিবেদনে জানায়, গাজায় হামলার জন্য বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে ফিলিস্তিন, সৌদি আরব, কাতার ও আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশের ফুটবল ফেডারেশন ইসরায়েলকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন: