অবশেষে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ শিরোপা হাতে পেল বাংলাদেশের মেয়েরা
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
মেয়েদের সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের ঘটনাবহুল ফাইনাল শেষে ভারতের সঙ্গে শিরোপা ভাগাভাগি করতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। কিন্তু ফাইনাল শেষে ট্রফি নিয়ে ঘরে ফিরেছিল যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ভারত। ফলে, চ্যাম্পিয়ন হয়েও এতদিন শিরোপার ছোঁয়া পায়নি বাংলাদেশের মেয়েরা। অবশেষে টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার ১০দিন পর সেই শিরোপা তারা হাতে তুলেছেন।
রোববার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনের সামনের মাঠে এক অনুষ্ঠানে মেয়েদের হাতে এই শিরোপা তুলে দেওয়া হয়। আয়োজনে বাংলাদেশ ফরোয়ার্ড সাগরিকার হাতে তুলে দেওয়া হয় সর্বোচ্চ গোলদাতা এবং টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে এবারের টুর্নামেন্টের ফাইনালে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও ভারত। নির্ধারিত সময় শেষে খেলা ১-১ সমতায় থাকায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকার। সেখানেও দুই দল সমান ৫টি করে বল জালে জড়ালে খেলা গড়ায় সাডেন ডেথে। কিন্তু এখানেও দুই দলের ছয় জনই লক্ষ্যভেদ করেন।
এরপরই ম্যাচে বিতর্কের জন্ম দেন ম্যাচ কমিশনার ডি সিলভা জয়াসুরিয়া। দুই দলের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই রেফারিকে ডেকে নিয়ে টসের মাধ্যমে শিরোপা নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত দেন এই শ্রীলঙ্কান। টসে ভারত জিতলে তাদেরকে বিজয়ী ঘোষণাও করা হয়। তখনই বাইলজের প্রসঙ্গ টেনে এই সিদ্ধান্ত বয়কট করে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত অনেক আলোচনার পর দুই দলকেই যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়। ফল ঘোষণার পরই শিরোপা নিয়ে দেশে চলে যায় ভারত।
টুর্নামেন্টে সাগরিকা ছাড়াও ৪টি করে গোল করেন ভারতের পুজা ও শিবানি দেবি। ফলে, তিন জনই যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন। নেপালের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জেতা ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন সাগরিকা। এরপর রাউন্ড রবিন লিগে ভারতকে ১-০ ব্যবধানে হারানো ম্যাচে জয়সূচক গোলটিও করেন তিনি। ফাইনালেও শেষ মুহূর্তে বল জালে জড়িয়ে বাংলাদেশকে সমতায় ফেরা সাগরিকা। তবে টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার খবরটি তিনি জেনেছেন রোববার সকালেই।
“আজ সকালেই জেনেছি, আমি সর্বোচ্চ গোলাদাতা হওয়ার সাথে সাথে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও পেয়েছি। টিভিতে নাকি আব্বা-আম্মা আগে দেখেছিল, কিন্তু তারাও আমাকে কিছু বলেনি। আমি জেনেছি আজ সকালে। এই পর্যায়ে (অনূর্ধ্ব-১৯) এটা আমার প্রথম টুর্নামেন্ট। দুই পুরস্কার পেয়ে অনেক ভালো লাগছে।”
মন্তব্য করুন: