আলভেসের আত্মহত্যার শংকা : জেল কর্তৃপক্ষের জরুরি পদক্ষেপ
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ধর্ষণের অভিযোগে কারাবন্দি ব্রাজিল তারকা দানি আলভেস মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন- এমন আশঙ্কায় তার জন্য ‘অ্যান্টি সুইসাইড প্রটোকল’ চালু করেছে জেল কর্তৃপক্ষ।
বার্সেলোনার ব্রায়ানস টু জেলখানায় বসে এখন ধর্ষণ মামলার রায়ের প্রহর গুনছেন দানি আলভেস। মানসিকভাবে মোটেও ভালো নেই ব্রাজিলের সাবেক এই রাইটব্যাক। ভেতরে ভেতরে নাকি ভেঙে পড়েছেন। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম টিভি চ্যানেল ‘টেলেসিনকো’র এক অনুষ্ঠান এমন তথ্য দিয়েছেন কারাগারে আলভেসের সেলে সাজা খাটা এক কয়েদি।
বার্সেলোনার নাইটক্লাবে এক তরুণীকে ধর্ষণ এবং শারিরীক নির্যাতনের অভিযোগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি আলভেসের বিচার শেষ হয়েছে। কারাগারে বসে ৪০ বছর বয়সী ব্রাজিল তারকা এখন রায় শোনার অপেক্ষায় আছেন। তবে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মুন্দো দেপোর্তিভো’ জানিয়েছে, সবকিছু আলভেসের পক্ষে থাকলে বিচার শেষ হওয়ার পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে রায় হওয়ার কথা। কিন্তু সেটা না হওয়ায় আলভেসের সাজা হতে পারে বলে ধারণা করছে গণমাধ্যমটি।
কুতিনিও নামের সেই কয়েদি ‘টেলেসিনকো’কে বলেছেন, “বিচারকাজ শেষ হওয়ার পর পরিস্থিতি বিপক্ষে চলে যাওয়ায় সে (আলভেস) খুব ভেঙে পড়েছে। কারাগারের কর্মকর্তা তাকে সাহস দিচ্ছেন। সে নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে —এমন আশঙ্কা থেকে বিচারকার্য শেষ হওয়ার পরদিনই এই প্রটোকল চালু করা হয়।”
২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর বার্সেলোনার 'সাটন' নামে একটি পানশালার ভিআইপি সেকশনের বাথরুমে আলভেস একজন তরুণীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই তরুণী পুলিশে অভিযোগ করার তিন সপ্তাহ পর আলভেসকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর থেকেই তিনি জেলে আছেন
স্পেনের কৌসুলিরা অভিযোগ করেন যে, সেই রাতে আলভেস এবং তার বন্ধু ব্রুনো ব্রাসিল তিনজন তরুণীর জন্য শ্যাম্পেন কিনেছিলেন। সেই তিন তরুণীর মধ্যে একজনকে আলভেস তার সঙ্গে অন্যদিকে যেতে বলেন। আলভেসের কথায় রাজি হয়ে মেয়েটি তার সঙ্গে যান। সেখানে যে একটি বাথরুম আছে, সেটা মেয়েটির জানা ছিল না। বাথরুমে ঢুকতেই আলভেস দেখান তার হিংস্র রূপ। মেয়েটি বারবার চলে যেতে চাইলেও আলভেস তাকে শারীরিক নির্যাতন এবং ধর্ষণ করেন।
অবশ্য শুরু থেকেই ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন আলভেস। এক টিভি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি এই তরুণীকে চেনেন না। তবে পরবর্তী সময়ে তিনি স্বীকার করতে বাধ্য হন যে, ওই তরুণীর সঙ্গে তিনি যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। একইসঙ্গে জানান যে, স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যাবে- এমন শঙ্কায় তিনি শুরুতে মিথ্যা বলেছিলেন। আলভেসের দাবি ছিল, সেই তরুণী স্বেচ্ছায় তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন।
মন্তব্য করুন: