বেলিংহ্যামের লাল কার্ডে রেফারির উপর ক্ষুব্ধ রিয়াল কোচ
৩ মার্চ ২০২৪
ম্যাচের যোগ সময়ের একদম শেষ মুহূর্তের খেলা চলছিল। ২-২ সমতায় থাকা ম্যাচে জয় নিয়ে ফেরার চেষ্টায় বল জালেও জড়িয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু বল হাওয়ায় থাকতেই রেফারি ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজিয়ে দেন। প্রতিবাদ করতে গিয়ে লাল কার্ড দেখেন তারকা মিডফিল্ডার জুড বেলিংহ্যাম। ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হওয়ার পর রেফারির এরকম সিদ্ধান্তে বেজায় চটেছেন রিয়ালের ইতালিয়ান কোচ কার্লো আনচেলত্তি।
শনিবার স্প্যানিশ লা লিগায় ভালেন্সিয়ার মাঠে ম্যাচের আধা ঘণ্টা না পেরুতেই দুই গোলে পিছিয়ে পরে রিয়াল। সেখান থেকে বিরতির আগে ভিনিসুস জুনিয়রের গোলে ব্যবধান কমায় তারা। ৭৬তম মিনিটে ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডের দ্বিতীয় গোলে ম্যাচে সমতা ফেরে।
পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে মরিয়া রিয়াল যোগ করা সময়ের অন্তিম মুহূর্তে গোল করেই ফেলেছিল। ব্রাহিম দিয়াসের ক্রস থেকে হেডে বল জালে পাঠান বেলিংহ্যাম। কিন্তু বল হাওয়ায় থাকা অবস্থাতেই সবাইকে অবাক করে দিয়ে শেষ বাঁশি বাজান ম্যাচ রেফারি।
এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন রিয়ালের খেলোয়াড় থেকে শুরু করে কোচ। মাঠেই রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তার সঙ্গে তর্কে জড়ান বেলিংহ্যামসহ দলের বাকি সদস্যরা। কিন্তু আচমকাই রিয়ালের এই ইংলিশ মিডফিল্ডারকে লাল কার্ড দেখান রেফারি হেসুস জিল মানসানো। এর কারণ হিসেবে রেফারি তার রিপোর্টে বেলিংহ্যামের ‘আক্রমণাত্মক আচরণের’ কথা উল্লেখ করেন।
এই ঘটনায় ম্যাচ শেষে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করে রিয়াল কোচ আনচেলত্তি বলেন, “বেলিংহ্যামের লাল কার্ড নিয়ে আমরা বিরক্ত। সে রেফারিকে অপমান করে কিছু বলেনি। সে কেবল ইংরেজিতে বলছিল ‘এটা... গোল’। সে ওই কথাটাই বলছিল আমরা সবাই যা ভাবছিলাম। আমার মনে হয় সে (রেফারি) একটা ভুল করেছে।”
“বেলিংহ্যাম খুব স্পষ্টভাবেই কথাটা বলেছিল। ওই সময়ে সে খুবই ক্ষুব্ধ ছিল, কিন্তু ওইরকম ঘটনার পর সেটাই তো স্বাভাবিক। তার আচরণ অপমানজনক ছিল না, কোনোভাবেই নয়।”
রেফারির এমন সিদ্ধান্ত তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে দেখেননি জানিয়ে ৬৪ বছর বয়সী এই কোচ বলেন, “বেশি কিছু বলার নেই। অভূতপূর্ব কিছু একটা ঘটল। বল তখন আমাদের দখলে ছিল। বল যখন ভালেন্সিয়ার পায়ে ছিল তখন খেলা শেষ করা উচিত ছিল। পুরোই অস্বাভাবিক একটা ঘটনা। আমার ক্যারিয়ারে এমন ঘটনা আগে ঘটেনি।”
এই ড্রয়ের ফলে লিগে জিরোনা ও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান কমে আসতে পারে রিয়ালের। ২৭ ম্যাচে ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আনচেলত্তির দল। এক ম্যাচ কম খেলা জিরোনা ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে এবং বার্সেলোনা ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে তিনে রয়েছে ।
মন্তব্য করুন: