জেলে পাঠাতে গ্রেপ্তার করা হলো রবিনিওকে

২২ মার্চ ২০২৪

জেলে পাঠাতে গ্রেপ্তার করা হলো রবিনিওকে

১১ বছর আগে ইতালির নৈশক্লাবে এক তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে জেলে যেতে হচ্ছে ব্রাজিলের সাবেক তারকা রবিনিওকে। ব্রাজিলের আদালত রায় ঘোষণার পর গত বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। রবিনিওকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল ইতালির আদালত। রায়ের আগেই ব্রাজিলে ফিরে আসেন তিনি। এরপর ব্রাজিল সরকারকে শাস্তি কার্যকরের আহ্বান জানায় ইতালির সর্বোচ্চ আদালত। গত বুধবার ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ার আদালত রায় দেন, দেশেই সাজা খাটতে হবে রবিনিওকে।

২০১৩ সালে ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলানে খেলার সময় মিলানের এক নৈশ ক্লাবে আলবেনিয়ান এক নারীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে রবিনিওর বিরুদ্ধে। সেই নারী নিজের ২৩তম জন্মদিন উদ্‌যাপন করতে গিয়েছিলেন। রবিনিওসহ ৬ জন এই অপকর্ম ঘটান। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ২০১৭ সালে রবিনিওকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেয় ইতালির আদালত। এরপর ইতালির সর্বোচ্চ আদালতও রায় বহাল রাখে। রবিনিওর বিরুদ্ধে জারি করা হয় আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।

রায় ঘোষণার আগেই রবিনিও ব্রাজিলে চলে আসায় তখন তাকে জেলে যেতে হয়নি। ২০২২ সালে এই শাস্তি অনুমোদন করে ব্রাজিল সরকারকে তা কার্যকর করার অনুরোধ জানিয়েছিল ইতালি। কিন্তু বাইরের কোনো দেশে অপরাধ সংঘটনের পর সেই দেশের বিচারিক কর্তৃপক্ষের কাছে নিজেদের নাগরিককে হস্তান্তর করে না ব্রাজিল। তবে ইতালির অনুরোধের পর রবিনিওর শাস্তির বিষয়টি পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেয় ব্রাজিলের সুপিরিয়র কোর্ট অব জাস্টিস (এসটিজে)।

গত বুধবার ব্রাজিলের আদালত জানায়, দেশেই সাজা খাটতে হবে রবিনিওকে। সাজাটা যেন এখনই না খাটতে হয় সেই চেষ্টা করেছেন রবিনিও। কিন্তু ৪০ বছর বয়সী সাবেক এই ফরোয়ার্ডের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক লুইস ফিউক্স। তিনি রায়ে বলেন, শাস্তি বহাল আছে...তাই সে (রবিনিও) এই কারাভোগ শুরু করতে পারে।

আদালতের রায়ের পরই বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয় রবিনিওকে। সান্তোসের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল শহরের ফেডারেল পুলিশ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাতে বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া বিবৃতিতে জানিয়েছে, রবসন ডি সউজার (রবিনিও) বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করা হয়েছে। আসামির শারীরিক পরীক্ষা করা হবে (মেডিকেল লিগ্যাল ইনস্টিটিউটে) এবং শুনানিও হবে। এরপর তাকে সংশোধনাগারে পাঠাতে হবে।

৪০ বছর বয়সী রবিনিও অবশ্য শুরু থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন। তার দাবি, উভয়ের সম্মতিতেই যৌন সম্পর্কের ঘটনা ঘটেছে। তবে তার এই দাবি ধোপে টেকেনি। রবিনিওর আইনজীবী ব্রাসিলিয়ার আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হেবিয়াস কর্পাস রায় পেতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন যেন তাঁর মক্কেল মুক্ত থাকতে পারেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন।

মন্তব্য করুন: