ফিলিস্তিনের জয়ের রাতে উড়ে গেল ইসরায়েল
২২ মার্চ ২০২৪
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান আগ্রাসনের মাঝে কিছুটা হলেও স্বস্তির বাতাস এনে দিয়েছে ফুটবল। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে বাংলাদেশকে বড় ব্যবধানেই হারিয়েছে ফিলিস্তিন। ঠিক একই সময় ইউরো কোয়ালিফায়ারের প্লে-অফে আইসল্যান্ডের কাছে রীতিমত বিধ্বস্ত হয়ে মূলপর্বে খেলার সুযোগ হারিয়েছে ইসরায়েল।
বৃহস্পতিবার রাতে কুয়েতে ২০২৬ বিশ্বকাপ ও ২০২৭ এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের ম্যাচে বাংলাদেশের জালে ৫ গোল দেয় যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনিরা। অন্যদিকে ইউরোর প্লে-অফের ম্যাচে নিজেদের দেশে খেলতে না পারায় হাঙ্গেরির মাঠে স্বাগতিক হিসেবে খেলতে নেমে আইসল্যান্ডের কাছে ৪-১ গোলে হারে ইসরায়েল।
বল দখলে এগিয়ে থাকা ইসরায়েলিরা ম্যাচের ৩১তম মিনিটেই এগিয়ে যায়। তবে এরপরই প্রতিপক্ষের ওপর পাল্টা আক্রমণ শুরু করে আইসল্যান্ড। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই ২-১ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় তারা। শেষ দিকে ফরোয়ার্ড অ্যালবার্ট গুথমুন্ডসন দুই গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করলে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আইসল্যান্ড।
এই ম্যাচের আগেও ফিফা থেকে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে আবারও সরব হয়ে ওঠে ফিলিস্তিনের ফুটবলার থেকে শুরু করে দেশটির সমর্থকরা। তবে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে মুখে যেন কুলুপ এঁটেছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
দুই বছর আগে ইউক্রেনে হামলার দায়ে রাশিয়াকে ফুটবলের সব ধরনের কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করে ফিফা। ফলে ২০২২ বিশ্বকাপের প্লে-অফে খেলার সুযোগ হারায় ২০১৮ আসরের আয়োজক দেশটি। অন্যদিকে, গত অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালিয়ে এখন পর্যন্ত ৩১ হাজারেরও বেশি নাগরিককে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী, যার মধ্যে রয়েছে ১৩ হাজারের বেশি শিশু। তবে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠলেই দ্বিমুখী আচরণ করে আসছে ফিফা।
অন্যদিকে, প্লে-অফে ইসরায়েলের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে নিজেদের অস্বস্তির কথা জানান আইসল্যান্ডের কোচ। এমনকি ম্যাচটি না খেললে উল্টো তাদেরকেই নিষিদ্ধ করা হতে পারে বলেও জানান তিনি।
“আমি ইসরায়েলের বিপক্ষে খেলতে অস্বস্তি বোধ করছি কারণ গাজায় তারা নারী, শিশু ও অন্যান্য সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে যা করছে। এটা কখনোই হওয়া উচিত না। আর আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন আমাদেরও এই ম্যাচ খেলা উচিত না। আমরা যদি না খেলি আমাদেরকে নিষিদ্ধ করা হবে। আরেক সদস্য দেশের সঙ্গে না খেললে ভবিষ্যতে আরও শাস্তি দেওয়া শঙ্কাও আছে।”
মন্তব্য করুন: