খালি হাতেই শেষ লিভারপুলে ক্লপের ইউরোপ অধ্যায়
১৯ এপ্রিল ২০২৪
গত জানুয়ারিতে চলতি মৌসুম শেষে লিভারপুল ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। তাই এবারের ইউরোপা লিগই ছিল অলরেডদের হয়ে এই কোচের শেষ কোনো ইউরোপিয়ান আসর। দলও হয়তো চেয়েছিল আগামী ২২ মে ডাবলিনের ফাইনালে উয়েফার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসরের শিরোপা জিতে ক্লপকে বিদায় জানাতে। কিন্তু কোয়ার্টার-ফাইনালে ফিরতি লেগে আতালান্তাকে ১-০ গোলে হারিয়েও সেটি আর হচ্ছে না। ঘরের মাঠে প্রথম লেগ বড় ব্যবধানে হারায় খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে ক্লপের দলকে।
গত সপ্তাহে অ্যানফিল্ডে প্রথম লেগে ইতালিয়ান ক্লাবটির কাছে ৩–০ গোলে হারে লিভারপুল। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৩–১ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় ইউরোপা লিগের সেমি-ফাইনালের আগেই বিদায় নিতে হলো এই ইংলিশ ক্লাবটিকে।
বৃহস্পতিবার শেষ চারে ওঠার জন্য আতালান্তার মাঠে কমপক্ষে চার গোলের ব্যবধানে জিততে হতো লিভারপুলকে। ম্যাচের সপ্তম মিনিটে মোহাম্মদ সালাহ পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে সে লক্ষ্যেই রাখেন। কিন্তু এরপর গোলের জন্য ১৬টি শট নিলেও জালের দেখা পায়নি ক্লপের শিষ্যরা। এমনকি প্রথমার্ধে গোলরক্ষককে একা পেয়েও জালে জড়াতে ব্যর্থ হন সালাহ।
লিভারপুলের হয়ে ৯ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে এটি ছিল ইউরোপিয়ান আসরেগুলোয় ক্লপের ৮৯তম ম্যাচ। জার্মান এই কোচের অধীনে ১৪ বছর পর ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জেতে অলরেডরা। আর খালি হাতে ইংলিশ দলটির হয়ে ইউরোপ অভিযান শেষ করার পর নিজের মিশ্র অনুভুতির কথা জানান ক্লপ।
“মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে। আমরা বাদ পড়েছি। তবে ম্যাচ নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। আমাদের সামনে লক্ষ্যটা (প্রথম লেগের জন্য) কঠিন ছিল। ডাবলিনে যাওয়ার আশা করেছিলাম। কিন্তু সেটা ঘটল না। এখন আমাদের সামনে শুধু একটি প্রতিযোগিতাই (প্রিমিয়ার লিগ) আছে। সেখানে নিজেদের আমরা নিংড়ে দেব।”
তবে বিদায়ের ঘোষণা দেওয়ার পর ইউরোপা লিগসহ ক্লপের সামনে মোট চারটি শিরোপা জেতার সম্ভাবনা ছিল। ইংলিশ ফুটবল কাপ জিতলেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে হেরে এফএ কাপ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে লিভারপুলকে। প্রিমিয়ার লিগ পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে ২ পয়েন্ট ব্যবধানে পিছিয়ে তাদের অবস্থান তালিকার তিনে। হাতে আছে ৬টি ম্যাচ। এখানেও সময়টা ভালো যাচ্ছে না ক্লপের দলের। শেষ দুই ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে ড্র এবং ঘরের মাঠে ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে হেরে লিগ শিরোপা দৌড়ে বেশ বড় ধাক্কা খায় তারা।
মন্তব্য করুন: