দুই হলুদ কার্ড দেখেও টাইব্রেকারে দলকে জেতালেন মার্তিনেস
১৯ এপ্রিল ২০২৪
কাতার বিশ্বকাপের রোমাঞ্চকর ফাইনালের মূল পার্থক্য গড়ে দিয়েছিলেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। অতিরিক্ত সময়ের শেষ মুহূর্তে ফ্রান্সের নিশ্চিত গোলের আক্রমণকে দুর্দান্তভাবে ঠেকিয়ে দেন এই আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক। এরপর টাইব্রেকারে তার বীরত্বে ৩৬ বছর পর শিরোপা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এবার উয়েফা কনফারেন্স লিগে পেনাল্টি শুটআউটে দুটি শট ঠেকিয়ে তার দল অ্যাস্টন ভিলাকে সেমি-ফাইনালে তুলেছেন মার্তিনেস। তবে তার আগে দুটি হলুদ কার্ড দেখলেও নিয়মের ফাঁক দিয়ে লাল কার্ড এড়িয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ফরাসি ক্লাব লিলের মাঠে কোয়ার্টার-ফাইনালের দুই লেগ মিলিয়ে ম্যাচ ৩-৩ সমতায় শেষ হয়। এরপর টাইব্রেকারে মার্তিনেসের নৈপুণ্যে ৪-৩ ব্যবধানে জিতে ৪২ বছর পর প্রথমবারের মতো কোনো ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার শেষ চারে পা রাখে অ্যাস্টন ভিলা। সবশেষ ১৯৮২ সালে ইউরোপিয়ান কাপের (বর্তমান চ্যাম্পিয়নস লিগ) ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল এই ইংলিশ ক্লাবটি। অন্যদিকে, এই নিয়ে জাতীয় দল ও ক্লাবের হয়ে সবশেষ পাঁচ টাইব্রেকারের সবকটিতেই দলকে জেতালেন মার্তিনেস।
মূল ম্যাচে সময় নষ্ট করার দায়ে প্রথমার্ধে মার্তিনেসকে প্রথম হলুদ কার্ড দেখানো হয়। এরপর নির্ধারিত সময় এবং অতিরিক্ত সময়ে আর কোনো কার্ড না দেখলেও টাইব্রেকারে নিজের দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন এই গোলরক্ষক। শট ঠেকিয়ে লিলের দর্শকদের দিকে নানারকম ভঙ্গি করতে দেখা যায় তাকে। এছাড়াও প্রতিপক্ষের শট নিতে আসা ফুটবলারদের মনোযোগ বাধাগ্রস্ত করলে বিচিত্র সব কাণ্ড করতে থাকেন তিনি। এই বিষয়ে রেফারি তাকে একবার সতর্ক করার পরেও না থামায় তাকে হলুদ কার্ড দেখানো হয়।
তবে নিয়ম অনুযায়ী টাইব্রেকারের ক্ষেত্রে মূল ম্যাচের হলুদ কার্ড বিবেচনায় নেওয়া হয় না। ফলে দুটি হলুদ কার্ড পেলেও মার্তিনেসকে লাল কার্ড দেখতে হয়নি। এরপর আরও একটি শট ঠেকিয়ে ভিলাকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন গত বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষক। ২০২২ সালের সেই আসরেও টাইব্রেকারে ফ্রান্সের খেলোয়াড়দের মনোযোগ বাধাগ্রস্ত করতে বিভিন্ন কাণ্ড করে হলুদ কার্ড দেখেছিলেন ৩১ বছর বয়সী মার্তিনেস
মন্তব্য করুন: