টুখেলকে বায়ার্নে রাখতে সমর্থকদের সই সংগ্রহ
২৭ এপ্রিল ২০২৪
চলতি মৌসুম শেষে বায়ার্ন মিউনিখের দায়িত্ব ছাড়বেন টমাস টুখেল। তবে নিজে থেকে ছাড়ছেন না, ক্লাবই তার সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে টানা তিন ম্যাচ হারের পর জার্মান এই কোচকে মৌসুম শেষে বিদায় জানানোর ঘোষণা দিয়েছিল ক্লাব কর্তৃপক্ষ। তবে টুখেলকে বায়ার্নে রেখে দেওয়ার দাবিতে অনলাইনে পিটিশন (সই সংগ্রহ) চালু করেছে দলটির এক সমর্থক। ইতোমধ্যে প্রায় ১৭ হাজার মানুষ সেখানে স্বাক্ষর করেছেন এবং এই সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
গত বছরের মার্চে ইউলিয়ান নাগলসমানকে ছাঁটাই করে টুখেলকে কোচের দায়িত্ব দেয় বায়ার্ন। দায়িত্ব নিয়েই দলকে জেতান তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা বুন্ডেসলিগার শিরোপা। তবে চলতি মৌসুমে সময়টা একদমই ভালো যাচ্ছে না এই কোচের।
জার্মান সুপার কাপে লাইপজিগের কাছে ৩–০ গোলে হেরে যায় বায়ার্ন। এরপর জার্মান কাপের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে ছিটকে যায় তারা। টানা ১১ মৌসুম নিজেদের ঘরে রাখা বুন্ডেসলিগার শিরোপাও হাতছাড়া হয় বায়ান লেভারকুজেনের কাছে। তবে এখনও চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের সম্ভাবনা আছে টুখেলের দলের। ইউরোপ সেরার আসরের সেমি-ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে খেলবে তারা।
এতেই টুখেলকে দলের কোচ হিসেবে রাখতে জেগে ওঠে বায়ার্ন সমর্থকরা। গত মঙ্গলবার ‘চেঞ্জ ডট অর্গ’ নামে একটি ওয়েবসাইটে সেই পিটিশন চালু করে ক্লাবটির এক সমর্থক। তবে সেখানে টুখেলকে রেখে দিয়ে দলের নতুন কোচ হিসেবে গুঞ্জন ওঠা রাল্ফ রাংনিককে না আনার কথা বলা হয়েছে।
অবশ্য ভক্তদের এমন দাবিতেও বায়ার্নে আর থাকতে রাজি নন টুখেল। বুন্ডেসলিগায় আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে মাঠে নামার আগের দিন শুক্রবার ৫০ বছর বয়সী এই কোচ বলেন, “ওরা (ভক্তরা) চায় আমি থেকে যাই। বিষয়টি আমার জন্য ভালো হলেও আমার অগ্রাধিকারের তালিকায় নেই। এটাকে গুরুত্ব সহকারে দেখছি না। আগামী কয়েকদিন আমি শুধু ফুটবল নিয়েই ভাবব। এর বাইরে কিছু নয়।”
রাংনিক ছাড়াও বায়ার্নের কোচ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন অ্যাস্টন ভিলার উনাই এমেরি। অন্যদিকে, চলমান এই পিটিশনের নাম দেওয়া হয়েছে “আমরা ইউপেলকে (টুখেলকে) চাই এবং রাংনিককে নয়!” এই পিটিশনের বর্ণনায় বলা হয়েছে, “এমেরি ও রাংনিকের মতো কোচ পদপার্থীদের প্রতি সম্মান জানিয়েই বলছি, তারা টুখেলের মতো ভালো হবেন না। ২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল আমাদের ঘরেই (আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায়) হবে। সেটা বিবেচনায় নিয়ে বায়ার্ন মিউনিখের আরও খুশি হওয়া উচিত যে তারা টুখেলের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের একজন অসাধারণ কোচ পেয়েছে।”
টুখেলের অধীনে ২০২০ সালে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওঠে পিএসজি। তবে সেই ফাইনালে টুখেলের বর্তমান ক্লাব বায়ার্নের কাছে হেরে যায় তারা। অবশ্য পরের বছর চেলসিকে ইউরোপীয় ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট এনে দেন এই কোচ।
মন্তব্য করুন: