রোমাঞ্চকর ম্যাচে হেরে রেফারিকে ধুয়ে দিলেন বায়ার্ন কোচ
৯ মে ২০২৪
ম্যাচের তখন অন্তিম মুহূর্তের খেলা চলছিল। ম্যাচে ফিরতে মরিয়া বায়ার্ন মিউনিখ এমন সময় রিয়াল মাদ্রিদের জালে বলও পাঠিয়েছিল। কিন্তু তার আগেই লাইনসম্যান অফসাইডের পতাকা তোলায় গোলটি বাতিল করা হয়। এতেই জার্মান ক্লাবটিকে ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠেছে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা। আর এমন সিদ্ধান্তকে বিশ্বাসঘাতকতার সঙ্গে তুলনা করে রেফারি ও লাইনসম্যানকে রীতিমত ধুয়ে দিয়েছেন টমাস টুখেল।
তবে রেফারিংয়ের বিতর্কের আগে বুধবার রাতে সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগে দারুণ রোমাঞ্চকর এক ম্যাচের স্বাক্ষী হয় ফুটবলপ্রেমীরা। প্রথম লেগ ২-২ গোলে ড্র হওয়ায় ফাইনালে উঠতে দু’দলের এই ম্যাচে শুধু জয় পেলেই হতো। সে অনুযায়ী শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে তারা। তবে এগিয়ে ছিল রিয়ালই। কিন্তু অভিজ্ঞ গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ারের দৃঢ়তায় একের পর আক্রমণ জালের স্পর্শ পায়নি।
উল্টো ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে আলফন্সো ডেভিসের গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। সেই ব্যবধান ধরে রেখে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল জার্মান দলটি। কিন্তু তিন মিনিটের মধ্যে হোসেলুর জোড়া গোলে নাটকীয়ভাবে এগিয়ে যায় রিয়াল। ৮৮তম মিনিটে দলকে সমতায় ফেরানোর পর যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে দ্বিতীয় বার বল জালে জড়ান এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড।
তবে ম্যাচের মূল বিতর্কটা হয় যোগ করা সময়ের ১৩তম মিনিটে। দলকে সমতায় ফেরাতে আক্রমণে যাওয়া বায়ার্নের হয়ে বল জালে জড়ান মাটাইস ডি লিট। কিন্তু তিনি শট নেওয়ার আগেই লাইন্সম্যান পতাকা তোলায় অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি। রিয়ালের ফুটবলাররা খেলা থামিয়ে দিলে শট নিতে খুব একটা বাধার মুখে পড়েননি ডি লিট।
রেফারির এই সিদ্ধান্তে তখনই মাঠে প্রতিবাদ জানা বায়ার্ন। কিন্তু রেফারি নিজের সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন। ম্যাচ শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় টিএনটি স্পোর্টসকে টুখেল বলেন, “এটা খুবই, খুবই বাজে একটা সিদ্ধান্ত ছিল। সর্বনাশা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লাইনসম্যান ও রেফারি। এই সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছিল বলে মনে হচ্ছে।”
সেখানেই থামেননি বায়ার্ন কোচ। সংবাদ সম্মেলনেও রেফারির ওপর নিজের ক্ষোভ ঝাড়েন। বিষয়টি নিয়ে রেফারি দুঃখ প্রকাশ করেছে জানিয়ে টুখেল বলেন, “সবার সর্বোচ্চটা দিতে হয়েছে, ভুগতে হয়েছে, কোনো ভুল ছাড়াই খেলতে হয়েছে সবাইকে। সুতরাং রেফারিকেও সেই মানের হতে হবে। ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর অজুহাত দিয়ে কোনো লাভ নেই। আপনি সেরা বলেই মাঠে। শেষ পর্যন্ত মাঠে আপনার কাছে সেরাটা প্রত্যাশা করা আমাদের অধিকার। তাই এখন দুঃখ প্রকাশ করে কোনো লাভ নেই।”
অবশ্য রেফারির সিদ্ধান্তে ভুল কিছু ছিল না বলে জানান কার্লো আনচেলত্তি। এক্ষেত্রে নিজেদের বাতিল হওয়া একটি গোলের কথা তুলে ধরে রিয়াল কোচ বলেন, “বিষয়টা একেবারেই পরিস্কার। লাইনসম্যান পতাকা তুলেছে, রেফারি বাঁশি বাজানোর পর আমরা খেলা থামিয়ে দিয়েছি। তারা যদি এটা নিয়ে অভিযোগ করে, আমরা নাচোর বাতিল হওয়া গোলটি নিয়েও অভিযোগ করতে পারি।”
ডেভিসের গোলে বায়ার্ন এগিয়ে যাওয়ার পর ৭১তম মিনিটে কর্নার থেকে তাদের জালে বল পাঠায় রিয়াল। কিন্তু জসুয়া কিমিখকে মুখে ধরে নাচো ফের্নান্দেস ফেলে দেওয়ায় ভিএআর দেখে সেই গোল বাতিল করেন রেফারি
মন্তব্য করুন: