সাংবাদিকদের ফুটবল বোঝার দক্ষতা নিয়ে খেলাইফির প্রশ্ন
৯ মে ২০২৪
আবারও ইউরোপ সেরা হওয়ার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে পিএসজির। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সেমি-ফাইনালের থেকে বিদায় নিয়েছে লুইস এনরিকের শিষ্যরা। ঘরের মাঠে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ফিরতি লেগেও হারের মুখ দেখায় কিছুটা তোপের মুখে পড়েছেন দলের কোচও। আর ক্লাবে এনরিকের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন করায় তাতে বেজায় চটেছেন পিএসজির মালিক নাসের আল খেলাইফি।
গত মঙ্গলবার ঘরের মাঠে ডর্টমুন্ডের কাছে ১-০ গোলে হারে পিএসজি। প্রথম লেগেও একই ব্যবধানে হারে তারা। দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ ব্যবধানের অগ্রগামিতায় ১১ বছর ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে জার্মান ক্লাবটি।
অথচ স্কোয়াডের মূল্যমান কিংবা সাম্প্রতিক ফর্মের বিচারে ডার্টমুন্ডের চেয়ে বেশ এগিয়ে ছিল পিএসজিই। ইতোমধ্যেই লিগ ওয়ানের শিরোপা ঘরে তুলেছে এনরিকের দল। অন্যদিকে বুন্ডেসলিগায় ডর্টমুন্ডের অবস্থান পয়েন্ট তালিকার পাঁচ নম্বরে।
এছাড়াও একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জয়ের জন্য ২০১১ সালে ফরাসি ক্লাবটির মালিকানা কিনে নেওয়ার পর থেকে কারিকারি টাকা খরচ করছেন খেলাইফি। এমনকি, এবারের স্কোয়াডের বাজার মূল্য ছিল ১০২ কোটি ইউরো। কিন্তু প্রতিবারের ন্যায় এবারও তাদের খালি হাতে ফিরতে হলো। যদিও এবারের কোয়ার্টার-ফাইনালে বার্সেলোনাকে বিদায় করার পর ফাইনালে ওঠার ব্যাপারে দারুণ আত্মবিশ্বাসী ছিল কিলিয়ান এমবাপ্পেরা।
ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে খেলাইফির কাছে আগামী মৌসুমেও এনরিকের কোচ থাকার বিষয়ে প্রশ্ন আসে। প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকের ফুটবল বোঝার দক্ষতা নিয়ে পিএসজি মালিক বলেন, “এটা কেমন প্রশ্ন? আপনি কি আসলেই ফুটবলের কিছু জানেন বা বোঝেন? আমরা ইউরোপের সর্বকনিষ্ঠ স্কোয়াড নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প তৈরি করছি, ভবিষ্যত উজ্জ্বল হবে। আমরা এগিয়ে যাব।”
তবে ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে হারের পেছনে ভাগ্যেরও কিছুটা দায় দেখেন খেলাইফি। দুই লেগ মিলিয়ে মোট ৪৪টি শট নেয় পিএসজি। কিন্তু একবারও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি। এর মধ্যে ছয়বারই বল পোস্ট ও ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে।
“এই ফলাফলে আমরা খুবই হতাশ এবং ব্যাথিত। আমার মনে হয় আমাদের আর ভালো কিছু প্রাপ্য ছিল। সব মিলিয়ে আজ চার বার পোস্টে বল লেগেছে, গত সপ্তাহে লেগেছে দুইবার। বল যেন ভেতরে যেতেই চাইছিল না! এটা কঠিন।”
দলের হারে হতাশ থাকলেও ডর্টমুন্ডকে অভিনন্দন জানিয়ে পিএসজির মালিক বলেন, “আমরা জিততে চেয়েছিলাম তবে ডর্টমুন্ডকে অভিনন্দন। আমরা সত্যিই ভেবেছিলাম আমরা ফাইনালে যেতে পারব। আমরা ভালো দল ছিলাম। আমি আমাদের দল নিয়ে গর্বিত। ইউরোপের সর্বকনিষ্ঠ দল। পাঁচ বছরে তৃতীয়বার আমরা সেমি-ফাইনালে উঠলাম। অবশ্যই এটি (হেরে যাওয়া) আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না। তবে এটাই ফুটবল। আমাদের ফল মেনে নিতে হবে।”
মন্তব্য করুন: