মেসির চুক্তির সেই ন্যাপকিন বিক্রি হলো বিশাল অংকে
১৮ মে ২০২৪
নিলামে মেসির সেই ন্যাপকিন প্রদর্শন করছেন একজন কর্মী। ছবি : গেটি ইমেজেস
সাধারণ একটি ন্যাপকিন। ব্যবহারের পর ময়লার বাক্সেই যার স্থান হয়। কিন্তু সেই ন্যাপকিনে যদি লিওনেল মেসির সাক্ষর থাকে, তাহলে নিঃসন্দেহে তা মহামূল্য হয়ে উঠবে। বার্সেলোনার সঙ্গে লিওনেল মেসির প্রথম চুক্তি হয়েছিল একটি ন্যাপকিনে। সেই ন্যাপকিন নিলামে বিক্রি হয়েছে ৭ লাখ ৬২ হাজার পাউন্ডে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ কোটি ৩৪ লাখ টাকারও বেশি।
বিবিসি স্পোর্টস জানিয়েছে, ১৬.৫x১৬.৫ মাপের ফ্রেমে বাঁধাই করা ন্যাপকিনটির ভিত্তিমূল্য ছিল ৩ লাখ ইউরো। পাউন্ড। বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ৪ কোটি ১৯ লাখ। এতদিন সেই ন্যাপকিন অ্যান্ডোরার একটি ভল্টে রাখা ছিল। কয়েকমাস আগে এটিকে নিলামে তোলার ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর গত মার্চে ন্যাপকিনটির মালিকানা নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা প্রমাণিত হয়নি। তবে ন্যাপকিনটির সংগ্রাহকের নাম প্রকাশ করেনি নিলাম আয়োজক প্রতিষ্ঠান।
নিউইউয়র্কের নিলাম প্রতিষ্ঠান বনহ্যামসের বই এবং পাণ্ডুলিপি বিভাগের প্রধান ইয়ান এহলিং বলেছেন, “এখন পর্যন্ত আমার দ্বারা পরিচালিত সবচেয়ে রোমাঞ্চকর নিলাম এটি। ২৪ বছর আগে এই ন্যাপকিনটি মেসির জীবন বদলে দিয়েছিল। বিশ্বজুড়ে কোটি কোট ফুটবলপ্রেমীদের গৌরবময় মুহূর্ত উপহার দেওয়ার পেছনে এই ন্যাপকিনটির অনেক ভূমিকা। গত মার্চে এটির মালিকানা নিয়ে যেসব অভিযোগ উঠেছিল, তা প্রমাণিত হয়নি। ন্যাপকিনের প্রেরক সমস্ত আইন মেনেই এটি আমাদের কাছে প্রেরণ করেছেন। স্প্যানিশ আইন অনুযায়ী এটি বিক্রয় করার অধিকার তার আছে।”
কাতালান ক্লাব বার্সেলোনা থেকেই মেসির উত্থানপর্বের শুরু। ২০০০ সালে বার্সেলোনার ট্রায়ালে জাদুকরী ফুটবলে সবাইকে চমকে দেন ১৩ বছরের বালক মেসি। ট্রায়াল শেষে মেসি পরিবারের সঙ্গে রোজারিওতে ফিরে যান। হঠাৎ একদিন মেসির পরিবারকে দুপুরের খাবারের নিমন্ত্রণ জানান বার্সার তৎকালীন ক্রীড়া পরিচালক কার্লোস রেক্সাস। সেদিনই একটি ন্যাপকিন পেপারে বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন মেসি। এরপর শুরু হয় নতুন ইতিহাসের।
ন্যাপকিন পেপারের সেই চুক্তিতে লেখা ছিল, “বার্সেলোনায় ১৪ ডিসেম্বর, ২০০০ সালে মিনগেলা, হোরাশিও আর বার্সার ক্রীড়া পরিচালক কার্লোস রেক্সাসের উপস্থিতিতে পূর্ণ দায়িত্বের সঙ্গে নির্দিষ্ট অঙ্কে লিওনেল মেসিকে সই করানোর ব্যাপারে একমত হওয়া গেল।”
মন্তব্য করুন: