দেশের জন্য কলঙ্ক বয়ে এনেও দোষ স্বীকারে নারাজ সালাম মুর্শেদি
২৪ মে ২০২৪
ফিফার টাকা নয়ছয় করার অভিযোগে শাস্তি পেয়েছেন বাফুফের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদি। গত বৃহস্পতিবার তাকে ১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৩ লাখ টাকা) জরিমানা করেছে ফিফার এথিকস কমিটি। তবে জরিমানা গুনেও নিজের দোষ স্বীকারে রাজি নন মুর্শেদি। আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে তিনি নিজেকে দায়মুক্ত করার চেষ্টা করেছেন।
আলোচিত এই দুর্নীতির ঘটনায় ২০১৭ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সময়ে ফিফার ফান্ডের অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল, যা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। গত বছর ফিফা জানিয়েছিল, বাফুফেকে দেওয়া ফিফার ফান্ডের খরচের হিসাব দিতে ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করা হয়েছে। ক্রয় ও পরিশোধের প্রক্রিয়াগুলোতে মিথ্যা তথ্য, ত্রুটিপূর্ণ ক্রয় আদেশ ও ভূয়া দলিল পরিবেশন করা হয়েছিল।
ফিফার তদন্তে অভিযোগগুলো সন্দেহাতীতভাবে সত্যি প্রমাণিত হলে গত বছরের এপ্রিলে একই ঘটনায় বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে ১৯ হাজার সুইস ফ্রাঁ জরিমানা এবং দুই বছর নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সেই রায়ের বিরুদ্ধে সোহাগ আপিল করলে তার সাজা এক বছর বেড়ে যায়। জরিমানাও হয়ে যায় দ্বিগুণ।
একই ঘটনায় মুর্শেদিকেও জরিমানা করে ফিফা। এছাড়া বাফুফের সাবেক প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেন ও সাবেক প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান—দুজনকেই ১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ জরিমানা ও ২ বছরের জন্য ফুটবল সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ করা হয়।
শুক্রবার এই সাজার বিষয়ে বাফুফের প্যাডে পাঠানো আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে মুর্শেদি জানান, “ফিফার নৈতিকতা কমিটির অ্যাডজুডিকেটরি চেম্বার কর্তৃক অধিকতর তদন্তের পর আমার বিপক্ষে আনা মোট তিনটি অভিযোগের মধ্যে অনৈতিক কার্যক্রম এবং জালিয়াতি বা মিথ্যাচারের মতো গুরুতর দুটি অভিযোগের কোনো ভিত্তি পায়নি ফিফা। ক্রয়প্রক্রিয়ায় চারজনের সই ছিল, তার মধ্যে দুজনকে ইতিমধ্যে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। যেহেতু আমি অর্থ কমিটির প্রধান, তাই আমাকে জরিমানা গুনতে হচ্ছে।”
মন্তব্য করুন: