মেসি-সুয়ারেসকে বিশ্রাম দেওয়ায় হতাশ প্রতিপক্ষ সমর্থক
২৫ মে ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর পর থেকে দেশটির ফুটবলে লিওনেল মেসিকে নিয়ে উন্মাদনা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। শুধু ইন্টার মায়ামিতেই নয়, আর্জেন্টাইন মহাতারকার পায়ের জাদু দেখতে গ্যালারি ভর্তি দর্শক সমাগম হচ্ছে প্রতিপক্ষের মাঠেও। এই যেমন মায়ামির পরের ম্যাচের জন্য প্রতিপক্ষের মাঠে প্রায় ৫০ হাজার টিকিট ইতোমধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে। কিন্তু এই ম্যাচে মেসিকে বিশ্রাম দেওয়ায় বেজায় চটেছেন ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসের সমর্থকরা।
বাংলাদেশ সময় রোববার ভোরে মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) কানাডিয়ান দল ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসের বিপক্ষে মাঠে নামবে মায়ামি। তবে এই ম্যাচের জন্য মেসি ছাড়াও লুইস সুয়ারেস ও সের্হিও বুসকেতসকে ছাড়াই ম্যাচের জন্য দল দিয়েছে মায়ামি। অবশ্য কোচ জেরার্দো মার্তিনো জানান, খেলোয়াড়দের ফিটনেস ও চোটের কথা বিবেচনা করেই তাদের এই সিদ্ধান্ত।
“আমরা বুঝতে পারছি যে অনেক সমর্থক হতাশ হবে। কিন্তু কখনও কখনও আমাদের দলের জন্য সেরাটা করতে হয়। গতকাল (বৃহস্পতিবার) অনুশীলনের পর কোচিং স্টাফ এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আমরা সেখানে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে তারা (মেসি, সুয়ারেস ও বুসকেতস) লম্বা এই সফরের ধকল সামলে ভ্যাঙ্কুভারে খেলতে যাবে না।”
মেসির দলে না থাকার সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না ভ্যাঙ্কুভার সমর্থকরা। এমনকি ক্লাব কর্তৃপক্ষও আলাদা বিবৃতি দিয়ে সমর্থকদের মেসি, সুয়ারেস ও বুসকেতসের না থাকার বিষয়টি সতর্ক করে দিয়েছে।
“এই সপ্তাহান্তের ম্যাচে লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেস ও সের্হিও বুসকেতসের খেলার বিষয়ে যখন আমরা কোনো আনুষ্ঠানিক খবর পেলাম না, তখনই বুঝতে পারলাম যে, তারা এই সফরে আসবে না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, প্রতিপক্ষ দলে কে খেলবে, তার ওপর আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই এবং যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টি আমাদের সমর্থকদের জানানো গুরুত্বপূর্ণ ছিল।”
তবে ভ্যাঙ্কুভার কর্তৃপক্ষের আশা, এই ম্যাচ দিয়ে রেকর্ড সংখ্যক দর্শক মাঠে আসতে পারেন, যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। তবে মেসি-সুয়ারেসরা না থাকায় তাদের হতাশা কিছুটা কমাতে ম্যাচের দিন স্টেডিয়ামের মধ্যে খাবার ও পানীয়ের ওপর ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
এর আগে চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে হংকংয়ে এক প্রীতি ম্যাচে মেসি না খেলায় সেখানকার দর্শকদের মাঝে বেশ বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত দর্শকদের বিক্ষোভের মধ্যে টিকিটের মূল্য অর্ধেক ফেরত দিতে সম্মত হয় আয়োজকরা। এমনকি এই ঘটনার জেরে চীনে আর্জেন্টিনার দুটি প্রীতি ম্যাচও বাতিল করা হয়।
মন্তব্য করুন: