লন্ডনের বাংলাদেশ দূতাবাসে হামজা চৌধুরীর সঙ্গে কী হয়েছিল?

লন্ডনের বাংলাদেশ দূতাবাসে হামজা চৌধুরীর সঙ্গে কী হয়েছিল?

অনেকদিন ধরেই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ফুটবলার হামজা চৌধুরীর বাংলাদেশের হয়ে খেলার কথা শোনা যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি হামজা তার মাকে নিয়ে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে পাসপোর্ট করতেও গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাদেরকে বিড়ম্বনার মাঝে পড়তে হয়। পরে পাসপোর্ট না করেই চলে যান তারা। বিষয়টি নিয়ে এবার মুখ খুলেছে বাফুফে।

হামজার গায়ে বাংলাদেশের জার্সি চাপানোর প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছে বাফুফে। এজন্য হামজাকে ফিফার বেঁধে দেওয়া কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রথমেই তাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে এবং সবুজ পাসপোর্ট নিতে হবে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ থেকে তার কাছে জন্মনিবন্ধন সনদও পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সেই পাসপোর্ট তৈরির শুরুতেই হয়েছিল গন্ডগোল।

লন্ডনের বাংলাদেশ দূতাবাসে মাকে নিয়ে পাসপোর্ট করতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন হামজা। এরপর পাসপোর্ট করতে না পেরে তিনি ছুটি কাটাতে চলে যান। পরে হামজার বাবা অবশ্য বলেন, দুই পক্ষের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। হামজা ছুটি কাটিয়ে ফিরলেই পাসপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়া ফের শুরু হবে।

সোমবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন বাফুফে সহসভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ, হামজার পাসপোর্টের ব্যাপারে লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। হামজা যেদিন দূতাবাসে গিয়েছিল, সেদিন প্রয়োজনীয় একটা কাগজ কম ছিল। সিস্টেমে কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল। কিছুটা ভুলবোঝাবুঝি হয়েছে। হামজার মায়ের সঙ্গেও হাইকমিশনের কথা হয়েছে। ছুটিতে গেছে হামজা। ছুটি থেকে এলেই কাজ এগোবে।

২৬ বছর বয়সী হামজা ইংল্যান্ডের শীর্ষ পর্যায়ে ক্লাব ফুটবল খেলেছেন। লেস্টার সিটির হয়ে জিতেছেন এফএ কাপ শিরোপা। এছাড়া ইউরোপের দ্বিতীয় সেরা ক্লাব টুর্নামেন্ট ইউরোপা লিগ ও এর পরের ধাপ কনফারেন্স লিগেও খেলেছেন। সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হলে বাংলাদেশের ফুটবলে হামজাই হবেন প্রথম ফুটবলার, যিনি ইংল্যান্ডের শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাব ফুটবলে খেলেছেন।

মন্তব্য করুন: