সালাহউদ্দিন-মুর্শেদীর পদত্যাগের দাবিতে এক সাবেক ফুটবলাররা
৩০ মে ২০২৪
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) শীর্ষস্থানীয় কর্তাব্যক্তিদের ফিফার দেওয়া শাস্তি নিয়ে গত বেশ কিছুদিন ধরেই দেশের ফুটবল অঙ্গনে তোলপাড় চলছে। ফিফার নিষেধাজ্ঞা ও জরিমানার তালিকায় বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ ছাড়াও আছে সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদীর নাম। এমন অবস্থায় সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন ও সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের দাবিতে এক হয়েছেন দেশের সাবেক ফুটবলাররা।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে দেশের ফুটবলের এমন দুর্দিনে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশে একত্রিত হন সত্তর-আশি ও নব্বইয়ের দশকে দেশের ফুটবলের বড় বড় তারকারা। সালাহউদ্দিনের নেতৃত্বে বাফুফে দেশের ফুটবলকে খাদের কিনারায় নিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
গত বছর ফিফার তদন্তে বাফুফে কর্তাদের আর্থিক জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। সেই ঘটনায় দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন আবু নাঈম সোহাগ। এক বছর অধিকতর তদন্তের পর এই ঘটনায় ফেঁসে যান সালাম মুর্শেদীও। জালিয়াতির ঘটনায় বাফুফের অর্থ কমিটির প্রধান হিসেবে এই সিনিয়র সহ-সভাপতির দায় দেখছে ফিফা। দায়িত্বে অবহেলার জন্য গত ২৩ মে তাকে ১৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অন্যদিকে সাবেক সাধারণ সম্পাদকের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদের সঙ্গে বাড়ে তার জরিমানাও। এই জালিয়াতির ঘটনায় সভাপতি সালাহউদ্দিনের দোষ দেখছেন সাবেক ফুটবলাররা। তাদের মতে, শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা ছাড়া এরকম দুর্নীতি কখনোই সম্ভব নয়।
প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আবদুল গাফফার, দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল, আশরাফউদ্দিন আহমেদ চুন্নু, শামসুল আলম মঞ্জু, আবু ইউসুফ, কাজী আনোয়ার, মোহাম্মদ সুলতান, রুম্মান বিন ওয়ালি সাব্বির, আরমান মিয়া, মাহবুব হোসেন রক্সি, বিপ্লব ভট্টাচার্য, মাহফুজুল আলম মামুন বাবুসহ আরও কয়েকজন জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার।
অনুষ্ঠানে সাবেক ফুটবলারদের এক হওয়ার বিষয়ে আবদুল গাফফার বলেন, “দেশের ফুটবল ফেডারেশনের দুই প্রধান কর্তা সাবেক তারকা ফুটবলার। তাঁদেরই অপকর্মের কারণে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের স্টাফরা ফিফার তদন্তে নিষিদ্ধ হচ্ছেন, জরিমানা গুনছেন। দুর্নীতির আখড়া বাফুফে। দেশের ফুটবল ঠিকমতো চলছে না, ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে আমরা তলানিতে। এসব দেখলে সাবেক ফুটবলার হিসেবে আমরা লজ্জিত হই। এসবের প্রতিবাদ করতেই আমরা সাবেক ফুটবলাররা এখানে একত্রিত হয়েছি।”
“এমন ঘটনার পর বাফুফে সভাপতি ও সিনিয়র সহসভাপতি দায়িত্ব পালনের নৈতিক যোগ্যতা হারিয়েছেন। ফুটবলের স্বার্থেই তাঁদের সরে যাওয়া উচিত।”
অন্যদিকে আশরাফউদ্দিন চুন্নু এই ঘটনার জন্য সালাহউদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করে বলেন, “এই ঘটনার দায় সভাপতিকেও নিতে হবে। তাঁর অবশ্যই পদত্যাগ করা উচিত।”
এছাড়াও ফুটবলের সুদিন ফেরাতে ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনের কাছে যাওয়ার কথাও জানান সাবেক ফুটবলাররা।
“সাদেক হোসেন খোকার পর আমরা আরেকজন মন্ত্রী পেলাম, যিনি ক্রীড়াঙ্গনের লোক। তিনি আবাহনীর সঙ্গে যুক্ত ও ক্রিকেট বোর্ডে আছেন অনেক দিন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীরও বেশ কাছের। তিনি নিশ্চয়ই জনপ্রিয় খেলা ফুটবলের গুরুত্ব ও ফুটবল ফেডারেশনের সমস্যার বিষয়টি অনুধাবন করবেন।”
মন্তব্য করুন: