বেলিংহ্যামের জীবনের সেরা রাত

রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে স্প্যানিশ লা লিগায় প্রথম মৌসুমটা এক কথায় দুর্দান্ত কেটেছে জুড বেলিংহ্যামের। বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে মাদ্রিদে পাড়ি জমিয়ে হয়ে উঠেছেন দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ইংলিশ এই মিডফিল্ডার মৌসুম শেষ করেছেন ক্লাবের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে তার কাছে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জেতা। নিজের প্রথম ইউরোপ সেরার মুকুট পেয়ে জানিয়েছেন, এর চেয়ে ভালো স্বপ্ন নিজেও দেখতে পারতেন না।

শনিবার রাতে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ডর্টমুন্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নেয় রিয়াল। ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের আসরে লস ব্লাঙ্কোসদের ১৫তম শিরোপা। দলে থাকা অনেকেই ইতোমধ্যেই পাঁচ-ছয়বার এই শিরোপা জিতলেও বেলিংহ্যামের জন্য এটাই প্রথম।

ম্যাচ শেষে টিএনটি স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বেলিংহ্যাম। জানান, চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা তার দুর্দান্ত মৌসুমকে পূর্ণতা দিয়েছে।

“আমি সবসময়ই এরকম ম্যাচে খেলার স্বপ্ন দেখে এসেছি। যখন এটা কঠিন হয়ে যায় তখন আপনি ভাবতে শুরু করেন যে এটার কোনো মূল্য আছে কি না – তবে আজকের রাতের মতো রাতগুলো এটাকে মূল্যবান করে তোলে। এমন নিখুঁত মৌসুমে এর চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না। আমি এটিকে ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না, এটা আমার জীবনের সেরা রাত।”

চলতি মৌসুমের শুরুতে ডর্টমুন্ড থেকে রিয়ালে যোগ দেওয়া বেলিংহ্যাম দলের হয়ে মোট ৩৬ গোলে অবদান রাখেন, যার মধ্যে গোল ২৩টি। ফাইনালে তেমন একটা ছন্দে না থাকলেও ভিনিসুস জুনিয়রকে দিয়ে করান ম্যাচের দ্বিতীয় গোল, যা এবারের ইউরোপ সেরার আসরে তার পঞ্চম অ্যাসিস্ট।

তবে ভাগ্য ডর্টমুন্ডকে সঙ্গ দিলে ম্যাচের ফলাফল ভিন্ন হতে পারতো বলে মনে করেন বেলিংহ্যাম। দারুণ খেললেও জার্মান দলটি প্রথমার্ধে কোনো গোল আদায় করে নিতে পারেনি। আরেকটি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের সাবেক ক্লাবকে নিয়ে এই মিডফিল্ডার বলেন, “সত্যি বলতে, তারা (ডর্টমুন্ড) প্রথমার্ধে সেরা দল ছিল। তারা দুই কিংবা তিনটি গোলও করতে পারত। কিন্তু এটা আমাদের বৈশিষ্ট্য যে আমরা আপনাকে ভোগান্তিতে ফেলার জন্য ফিরে আসতে পারি।”

সাবেক ক্লাবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বেলিংহ্যাম বলেন, “আমি এখন যে ক্লাবে আছি তা আমার কাছে খুবই বিশেষ এবং আমার পুরানো ক্লাবটিও (ডর্টমুন্ড)। তাদের ছাড়া এটা সম্ভব হতো না। এই ক্লাবটি আমার জন্য যা করেছে তার জন্য আমি সবসময় কৃতজ্ঞ থাকব এবং সবসময় সম্মান করব।”