রোকুজ্জোর সঙ্গে প্রেমের কাহিনী শোনালেন মেসি

রোকুজ্জোর সঙ্গে প্রেমের কাহিনী শোনালেন মেসি

লিওনেল মেসি আর আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোর দীর্ঘ প্রেমকাহিনী অনেকেরই জানা। দুজনে দীর্ঘদিন ধরে সংসার করছেন। কিন্তু মেসির মুখ থেকে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খোলামেলা আলোচনা রীতিমতো বিরল। কোপা আমেরিকার প্রস্তুতির মাঝেই তার ভাতিজা তমাস মেসির ইউটিউব চ্যানেলে মনের দরজা খুলে দিলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। শোনালেন রোকুজ্জোর সঙ্গে তার প্রেমকাহিনী।

আর্জেন্টিনার ক্লাব ওয়েলস ওল্ড বয়েজে খেলার সময় লুকাসের সঙ্গে ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায় মেসির। এই লুকাস হলেন রোকুজ্জোর কাজিন। সেই সূত্রেই রোকুজ্জোদের বাড়িতে যাতায়াত শুরু হয় মেসির। এরপর ক্যারিয়ার গড়তে স্পেনের বার্সেলোনায় পাড়ি জমান মেসি। সেইসময় দুজনের মাঝে যোগাযোগ ততটা না হলেও প্রেম চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। 

মেসি বলেন, “খুব অল্প বয়সে আমি ওর সঙ্গে দেখা করতে ওদের বাড়িতে যেতাম। সবসময় আমি ওকে পছন্দ করতাম। এরপর ১৩ বছর বয়সে আমি স্পেনে চলে গেলাম এবং আমাদের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেল। বর্তমান সময়ের চেয়ে সেই সময় যোগাযোগ খুবই কঠিন ছিল। আমি তাকে চিঠি পাঠাতাম। ই-মেইল করতাম এবং ল্যান্ডলাইন ফোনে কল করতাম, যা খুবই ব্যয়বহুল ছিল। তাই ওর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, এমনকী লুকাসের সাথেও।”

যৌবনের প্রারম্ভে আবারও রোকুজ্জোর সঙ্গে দেখা হয় মেসির। তাদের সম্পর্ক পায় নতুন মাত্রা। আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের ভাষায়, “আমি লুকাসের সঙ্গে সাক্ষাতের অজুহাতে আন্তোনেল্লার সঙ্গে দেখা করতে আর্জেন্টিনা গিয়েছিলাম। ১৬-১৭ বছর বয়সে ওর সঙ্গে ফের সাক্ষাৎ হওয়ার আগ পর্যন্ত মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করতাম। এভাবে আমরা আবার কাছাকাছি এলাম। ছোট বেলায় পরস্পরের প্রতি যে অনুভূতি ছিল, সেটা কখনও হারিয়ে যায়নি, কিছুই পরিবর্তন হয়নি। ১৯-২০ বছরে আমরা ডেটিংও শুরু করি।”

২০১৭ সালের ৩০ জুন রাজকীয় আয়োজনে দীর্ঘদিনের প্রেমিকার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মেসি। তাদের সংসারে তিনটি সন্তান। কোপা আমেরিকার রেকর্ড ১৫ বারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা শিরোপা ধরে রাখার মিশনে আগামী বৃহস্পতিবার কানাডার মুখোমুখি হবে। ‘এ’ গ্রুপে মেসিদের অন্য প্রতিপক্ষ পেরু ও চিলি।

মন্তব্য করুন: