পর্তুগালের প্রবল দাপটে আক্রমণের শক্তি হারায় চেক প্রজাতন্ত্র
১৯ জুন ২০২৪
ম্যাচজুড়ে আক্রমণের তোপে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল চেক প্রজাতন্ত্র। কোনো মতে গোলপোস্ট সামলালেও পর্তুগালের আক্রমণের তোড়ে দলের পাল্টা আক্রমণের কোনো শক্তিই অবশিষ্ট ছিল না বলে জানিয়েছেন কোচ ইভান হাসেক।
মুহুর্মুহু আক্রমণের মুখে পড়লেও মঙ্গলবার রাতে লাইপজিগে ২-১ ব্যবধানে হারে চেক প্রজাতন্ত্র। ব্যবধান কম হলেও মাঠের লড়াইয়ে পার্থক্য ছিল আকাশ-পাতাল। পুরো ম্যাচের ৭৪ শতাংশ সময় বল দখলে রাখা পর্তুগাল গোলের জন্য শট নেয় ১৯টি, যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল আটটি। রবের্তো মার্তিনেসের দল কর্নার পায় ১৩টি।
বেশিরভাগ সময় বলের পেছন দৌড়ানো চেকরা গোলের জন্য শট নিতে পারে মাত্র পাঁচটি। লক্ষ্যে থাকা একমাত্র শটটি জালে জড়ায় ৬২তম মিনিটে।
এরপর ৬৭তম মিনিটে আত্মঘাতী গোলে সমতায় ফেরে পর্তুগিজরা। যোগ করা সময়ে ডিফেন্ডারের ভুলের সুযোগ নিয়ে পর্তুগালকে এগিয়ে নেন ফ্রান্সিসকো কনসেইকাও।
ম্যাচ শেষে পর্তুগালের আক্রমণে তোপে নিজেদের প্রাণশক্তি ফুরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নেন হাসেক। তবে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে ম্যাচ হারায় হতাশা প্রকাশ করে চেক কোচ বলেন, “পর্তুগালের দুর্দান্ত আক্রমণভাগ আছে। আমাদের দলের প্রত্যেকে মিলে রক্ষণ সামলেছে। এরপর আর আমাদের আক্রমণের শক্তিই ছিল না।”
“অবশ্যই অমন শেষ মুহূর্তে গোল হজম করায় আমরা হতাশ। তবে আমাদের মাথা উঁচু রাখতে হবে। আরও উন্নতি করতে হবে, কারণ এটা আমাদের জন্য নিখুঁত ম্যাচ ছিল না।”
পর্তুগিজদের মুহুর্মুহু আক্রমণে বলের দখল নিজেদের কাছে রাখতে পারেনি বলেও জানান হাসেক।
“আমরা উপরের দিকে উঠতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু তারা চড়াও হয়ে খেলে আমাদের দিকে একদম কোণঠাসা করে রাখে। যখনই আমরা বল পেয়েছি আমরা আক্রমণে যেতে চেয়েছি। তবে কিছু বাজে পাস চড়াও হতে তাদের কাজটা আরও সহজ করে দিয়েছিল। বলের দখল হারানো আমাদের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল।”
আগামী বুধবার নিজেদের পরের ম্যাচে জর্জিয়ার মুখোমুখি হবে চেক প্রজাতন্ত্র। একই দিন জর্জিয়ার মুখোমুখি হবে পর্তুগালও।
মন্তব্য করুন: