আত্মঘাতী গোলে শেষ আটে ফ্রান্স, টাইব্রেকার বাধা পেরিয়ে পর্তুগাল
২ জুলাই ২০২৪
ম্যাচজুড়ে একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে গিয়েছিল ফ্রান্স। তবে বেলজিয়ামের রক্ষণের কারণে সফলতার মুখ দেখেনি একদমই। যখনই মনে হচ্ছিল খেলা গড়াবে অতিরিক্ত সময়ে, তখনই ভুল করে বসলেন প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার। আত্মঘাতী গোলে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছে দিদিয়ের দেশমের দল। অপর ম্যাচে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পেনাল্টি মিসে খেলা গড়িয়েছিল টাইব্রেকারে। সেখানে স্লোভেনিয়াকে একটি গোলও না দিতে দিয়ে পর্তুগালকে শেষ আটে তুলেছেন গোলরক্ষক দিয়োগো কস্তা।
সোমবার ডুসেলডর্ফে ম্যাচের ৮৫তম মিনিটে বেলজিয়াম ডিফেন্ডার ইয়ান ভার্টোনেনের আত্মঘাতী গোলে ১-০ গোলের জয়ের নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স। কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠলেও এখন পর্যন্ত ওপেন প্লে থেকে কোনো গোলই করতে পারেনি দেশমের শিষ্যরা!
চার ম্যাচে দুইবারের ইউরোজয়ীরা গোল করতে পেরেছে কেবল একটি। সেটিও পেনাল্টি থেকে। গ্রুপ পর্বের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে পোল্যান্ডের বিপক্ষে স্পট কিক থেকে দলের জয় সূচক গোলটি করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণের ছড়ি ঘোরালেও গোলের জন্য তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেন ফ্রান্স। এমবাপ্পে, অহেলিয়া চুয়োমিনি ও আঁতোয়া গ্রিজমানরা শট নিলেও তার সবকটি ছিল লক্ষ্যের বাইরে। পুরো ম্যাচে গোলের জন্য ১৯টি শট নেওয়া ফরাসিরা লক্ষ্যে রাখতে পারে কেবল দুটি। বিপরীতে পাঁচটি শটের দুটি লক্ষ্যে থাকলেও গোলের দেখা পায়নি বেলজিয়াম।
তবে নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট বাকি থাকতে বদলি হিসেবে নামা ফরোয়ার্ড রান্দাল কোলো মুয়ানির কোনাকুনি শট ডিফেন্ডার ভার্টোনেনের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ালে আনন্দে ভাসে ফরাসিরা।
ফ্রাংকফুর্টে দিনের আরেক ম্যাচে শক্তিমত্তায় তুলনামূলক পিছিয়ে থাকা স্লোভেনিয়ার উপর শুরু থেকেই চড়াও হয়ে খেলতে থাকে পর্তুগাল। কিন্তু প্রতিপক্ষের শক্ত রক্ষণভাগকে কিছুতেই ভেদ করতে পারেননি রোনালদো, ব্রুনো ফের্নান্দেস, বের্নার্দো সিলভারা।
ম্যাচের প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যে সতীর্থের ক্রস থেকে দুটি সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন রোনালদো। ৩২তম মিনিটে বক্সের বাইরে পাওয়া ফ্রি কিক থেকে নেওয়া পর্তুগিজ অধিনায়কের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে যায়।
বাকি সময়টা আক্রমণের ধার বাড়ালেও প্রতিপক্ষের রক্ষণ ফাঁকি দিতে না পারায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ১০৩তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ পায় পর্তুগাল। কিন্তু সেখানেও ব্যর্থ হন রোনালদো। তার নেওয়া শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন ওবলাক। এতে হতাশায় ভেঙে পড়েন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী এই তারকা।
এরপর ১১৫তম মিনিটে পেপের ভুলে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় স্লোভেনিয়া। কিন্তু গোলরক্ষক কস্তার দৃঢ়তায় সে যাত্রায় বেঁচে যায় ২০১৬ সালের চ্যাম্পিয়নরা। এরপর টাইব্রেকারেও দলের ত্রাতা হয়ে আসেন এই গোলকিপার।
পর্তুগালের হয়ে রোনালদো, ফের্নান্দেস ও সিলভা প্রথম তিনটি শট জালে জড়ান। অন্যদিকে প্রতিপক্ষের তিনটি শটই ঠেকিয়ে দেন কস্তা।
আগামী শুক্রবার আগামী শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে রোনালদোর দলের প্রতিপক্ষ এমবাপ্পের ফ্রান্স।
মন্তব্য করুন: