টানা দ্বিতীয় ইউরোর সেমিতে ইংল্যান্ড, ২০ বছর পর নেদারল্যান্ডস
৭ জুলাই ২০২৪
নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা সমতায় শেষ হওয়ায় খেলা গড়িয়েছিল টাইব্রেকারে। তবে প্রতিপক্ষের প্রথম শট ঠেকিয়ে জয়ের ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। পুরো ম্যাচে দারুণ পারফর্ম করা সুইজারল্যান্ডকে হতাশায় ডুবিয়ে পেনাল্টি শুটআউট জিতে সেমি-ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে তুরস্ককে ২-১ গোলে হারানো নেদারল্যান্ডস।
ডুসেলডর্ফে শনিবার রাতে ইউরোর তৃতীয় কোয়ার্টার-ফাইনালের নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ১-১ সমতায় শেষ হয়। এরপর টাইব্রেকারে কোল পালমার ইংলিশদের হয়ে প্রথম গোল করলেও ব্যর্থ হয় সুইসরা। মানুয়েল আকানজির শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে আটকিয়ে দেন পিকফোর্ড। এরপর বর্তমান রানার্স-আপদের হয়ে একে একে বল জালে জড়ান জুড বেলিংহ্যাম, বুকায়ো সাকা, ইভান টনি ও ট্রেন্ট অ্যালেক্সান্ডার-আর্নোল্ড। টাইব্রেকার জিতে নেয় ৫-৩ গোলে।
এর আগে মূল ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে সুইজারল্যান্ডকে এগিয়ে দেন ব্রিল এমবোলো। গোল হজমের মিনিট পাঁচেকের মাথায় ইংল্যান্ডকে সমতায় ফেরান সাকা। এরপর নির্ধারিত সময়ের যোগ করা সময়ে গোল করার ভালো একটি সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি সুইসরা। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ের দুই অর্ধে আধিপত্য বিস্তার করে দুই দল। প্রথমার্ধে আক্রমণের ধার দেখায় ইংলিশরা। কিন্তু সুইস গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় বল জালের দেখায় পায়নি। দ্বিতীয়ার্ধে তিনটি আক্রমণ থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় সুইসরা।
এই জয় ২০২০ আসরের পর টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোর শেষ চারে উঠল গ্যারেথ সাউথগেটের দল। অন্যদিকে টানা দুই ইউরোর কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হলো সুইজারল্যান্ডকে।
বার্লিনে দিনের আরেক কোয়ার্টার-ফাইনালে আর্দা গুলেরের দারুণ এক ক্রস থেকে ৩৫তম মিনিটে তুরস্ককে এগিয়ে দেন সামেত আকায়দিন। ম্যাচে ফিরতে মরিয়া নেদারল্যান্ডসকে অপেক্ষা করতে হয় ৭০তম মিনিট পর্যন্ত।
মেমফিস ডিপাইয়ের ক্রস থেকে দুর্দান্ত হেডে দলকে সমতায় ফেরার স্টেফান ডে ভ্রাই। এর ছয় মিনিটের মাথায় প্রতিপক্ষে ভুলে এগিয়ে যায় ডাচরা। কোডি গাকপোর শটে বাধা দিতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়ান তুর্কি ডিফেন্ডার।
এই জয়ে ২০০৪ সালের পর প্রথমবারের মতো ইউরোর সেমি-ফাইনালে উঠল নেদারল্যান্ডস। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ডর্টমুন্ডে আগামী বুধবার ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ১৯৮৮ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
মন্তব্য করুন: