ইয়ামালের নৈপুণ্যে ফ্রান্সকে হারিয়ে ফাইনালে স্পেন

১০ জুলাই ২০২৪

ইয়ামালের নৈপুণ্যে ফ্রান্সকে হারিয়ে ফাইনালে স্পেন

কিলিয়ান এমবাপ্পের সহায়তায় ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে গিয়েছিল ফ্রান্স। তবে দুর্দান্ত গোলে দলকে সমতায় ফেরাতে খুব বেশি সময় নেননি লামিনে ইয়ামাল। মিনিট পাঁচেকের মধ্যে আবারও গোলের দেখা পায় তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা। শেষ পর্যন্ত আর কোনো দল জালের দেখা না পাওয়ায় ফ্রান্সকে বিদায় করে এক যুগ পর ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের (ইউরো) ফাইনালে উঠেছে স্পেন।

মঙ্গলবার রাতে মিউনিখে প্রথম সেমি-ফাইনালের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ফ্রান্সকে ২-১ গোলে হারায় স্পেন। টুর্নামেন্টে ছয় ম্যাচের সবগুলো জিতেই শিরোপা লড়াইয়ের মঞ্চে উঠল লুইস দে লা ফুয়েন্তের দল। ম্যাচের সবকটি গোলই হয়েছে শুরুর ২৫ মিনিটের মধ্যে।

এদিন মাঠে নামার আগ পর্যন্ত পুরো টুর্নামেন্টে নিজেদের পা থেকে কেবল একটি গোল এসেছিল ফ্রান্সের। সেটিও গ্রুপ পর্বে পেনাল্টি থেকে। ওপেন প্লে থেকে কোনো গোল না হওয়ায় সমালোচনায় হয় বেশ। তবে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই সব সমালোচনার জবাব দেন রান্দাল কোলো মুয়ানি। এমবাপ্পের দুর্দান্ত ক্রস থেকে নিখুঁত হেডে দলকে এগিয়ে দেন এই ফরোয়ার্ড।

ম্যাচে ফিরতে মরিয়া স্পেনকে সমতায় ফেরান সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে ইউরোর সেমি-ফাইনাল খেলতে নেমে ইতিহাস গড়া ইয়ামাল। তার গোলটি ছিল আরও দুর্দান্ত। ২১তম মিনিটে ডি বক্সের অনেকটা বাইরে বল পান এই ফরোয়ার্ড। প্রতিপক্ষের একাধিক খেলোয়াড়ের ওপর দিয়ে হাওয়ায় ভাসিয়ে গোলের জন্য শট নেন ১৬ বছর বয়সী এই ফুটলার। বল সামান্য বাঁক খেয়ে পোস্টে লেগে জালে জড়ালে আনন্দে ভাসে স্পেন।

১৬ বছর ৩৬২ দিন বয়সে গোল করে ইয়ামাল গড়েন বিশ্বকাপ ও ইউরোর সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা হওয়ার রেকর্ড। এতদিন এই রেকর্ডের মালিক ছিলেন কিংবদন্তি পেলে। ১৯৫৮ বিশ্বকাপে ১৭ বছর ২৩৯ দিনে গোল করেছিলে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল সম্রাট।

সমতায় ফেরার চার মিনিট পর দলকে এগিয়ে দেন দানিন ওলমো। ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে পাল্টা আক্রমণ চালাতে থাকে ফরাসিরা। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। নিষ্প্রভ ছিলেন এমবাপ্পেও। শেষ পর্যন্ত সেমি-ফাইনালেই শেষ হয় ফ্রান্সের পথচলা।

আগামী রোববার বার্লিনের ফাইনালে রেকর্ড চতুর্থ ইউরোর জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামবে স্পেন। তাদের প্রতিপক্ষ হবে দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে বিজয়ী দল।

মন্তব্য করুন: