শেষ সময়ের গোলে ইউরোর ফাইনালে ইংল্যান্ড
১১ জুলাই ২০২৪
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের লড়াই শেষে অতিরিক্ত সময়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিল দু’দল। কিন্তু ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে বল জালে জড়িয়ে সব প্রস্তুতি থামিয়ে দেন ওলি ওয়াটকিনস। বদলি হিসেবে নামা এই ফরোয়ার্ডের দুর্দান্ত গোলে নেদারল্যান্ডসকে বিদায় করে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের (ইউরো) ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড।
ডর্টমুন্ডে বুধবার রাতে দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা লড়াইয়ের মঞ্চে ওঠে ইংল্যান্ড। আগামী রোববারের ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে সব ম্যাচ জেতা স্পেন।
এদিন সিগনা ইদুনা পার্কের দর্শকরা নিজেদের আসনে ঠিকঠাকভাবে বসার আগেই দুর্দান্ত এক গোলে ডাচদের এগিয়ে দেন শাভি সিমন্স। সপ্তম মিনিটে ডেকলান রাইসের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে জালে জড়িয়ে সমর্থকদের উল্লাসে মাতান এই পিএসজি মিডফিল্ডার।
পাল্টা আক্রমণে সমতায় ফিরতে মরিয়া ইংলিশদের কপাল খুলে যায় মিনিট দশেক পরেই। হ্যারি কেইনের শট আটকাতে গিয়ে তার পায়ে আঘাত করে বসেন ডেনজেল ডামফ্রিস। এরপর ভিএআর মনিটর দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক থাকলেও নিঁখুত শটে বল জালে জড়াতে একদমই ভুল করেননি ইংলিশ অধিনায়ক কেইন।
২৩তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত ইংল্যান্ড। কিন্তু গোল লাইন থেকে ফিল ফোডেনের শট ফিরিয়ে দেন ডামফ্রিস। খানিক বাদে এই ডিফেন্ডারের হেড পোস্টে লেগে ফিরে আসলে এগিয়ে যেতে পারেনি ডাচরা।
প্রথমার্ধে ইংলিশদের আক্রমণাত্মক খেলার ধার বিরতির পর কিছুটা কমে আসে। নেদারল্যান্ডস বারবার আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করলেও সফল হয়নি। ৭৯তম মিনিটে বুকায়ো সাকার গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। তবে ৯০তম মিনিটে ইংল্যান্ডকে আর হতাশ করেননি ওয়াটকিনস। কোল পালমারের কাছ থেকে পাওয়া বলে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে বল জালে জড়িয়ে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন অ্যাস্টন ভিলার এই ফরোয়ার্ড।
এই জয়ে বিদেশের মাটিতে প্রথম কোনো বড় টুর্নামেন্টের (বিশ্বকাপ ও ইউরো) ফাইনালে উঠল ইংল্যান্ড।
মন্তব্য করুন: