এক আসরে ২ ফাইনালও হয়েছিল ইউরোতে

১৩ জুলাই ২০২৪

এক আসরে ২ ফাইনালও হয়েছিল ইউরোতে

ইংল্যান্ড ও স্পেনের শিরোপা লড়াই দিয়ে পর্দা নামবে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের (ইউরো) এবারের আসরের। দুই দলের সামনেই সুযোগ আছে ইতিহাস গড়ে আসর শেষ করার। শিরোপা লড়াইয়ের আগে ইউরোর ফাইনাল নিয়ে কিছু পরিসংখ্যান যেনে নেওয়া যাক।

এবারের শিরোপা জিতলেই এককভাবে সবচেয়ে বেশি চতুর্থ ইউরো জয়ের রেকর্ড গড়বে স্প্যানিশরা। আর ইংলিশদের সামনে সুযোগ প্রথমবারের মতো শিরোপা জেতার।

রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় বার্লিনে ইউরোর ১৭তম আসরের ফাইনালে মাঠে নামবে স্পেন ও ইংল্যান্ড। এবারের ফাইনাল দিয়ে পঞ্চমবারের মতো ইউরোপ সেরার শিরোপা লড়াইয়ে মাঠে নামছে স্প্যানিশরা। ছয়বার ফাইনাল খেলে এই তালিকায় সবার উপরে আছে জার্মানি।

ইংল্যান্ডের জন্য এটি দ্বিতীয় ফাইনাল। ২০২০ আসরে নিজেদের প্রথম ফাইনালে ইতালির মুখোমুখি হয় হ্যারি কেইনরা। টাইব্রেকারে হেরে শিরোপা হাত ছাড়া করে তারা।

ইংলিশরা এখন পর্যন্ত ইউরোর শিরোপা জিততে না পারলেও ইতোমধ্যে তিনবার এই ট্রফি ঘরে তুলেছে স্পেন। ১৯৬৪ সালে প্রথম শিরোপা জয়ের পর ২০০৮ ও ২০১২ সালে পরপর দুই আসরে ইউরোপ সেরার মুকুট ঘরে তোলা তারা।

তিনটি শিরোপা নিয়ে সবচেয়ে বেশি ইউরো জয়ের তালিকায় স্পেনের সঙ্গে প্রথম স্থান ভাগাভাগি করছে এবারের আয়োজক জার্মানি।

ফাইনালে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়টাও স্পেনের। ইতালিকে ৪-০ গোলে হারিয়ে ২০১২ আসরের শিরোপা ঘরে তোলে তারা।

আগের ১৬টি আসরের মধ্যে চারবার (১৯৬০, ১৯৯৬, ২০০০ ও ২০১৬) শিরোপার নিষ্পত্তি হয়েছে অতিরিক্ত সময়ে। আর টাইব্রেকারে শিরোপা নিষ্পত্তি হয়েছে দুইবার (১৯৭৬ ও ২০২০)।

১৯৬৮ সালে ফাইনাল খেলা হয় দুইবার। অতিরিক্ত সময়ে ইতালি ও যুগোস্লাভিয়ার ম্যাচটি ১-১ সমতায় শেষ হওয়া খেলা গড়ায় দ্বিতীয় ম্যাচে। সে সময় শিরোপা নিষ্পত্তিতে টাইব্রেকারের প্রচলন ছিল না। দ্বিতীয় ফাইনাল ২-০ গোলে জিতে শিরোপা ঘরে তোলে ইতালি।

প্রথমবার ব্যর্থ হওয়ার পর টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠে শিরোপা জয়ের ঘটনা এর আগে ঘটেছে দুইবার। ১৯৭৬ আসরের রানার্স-আপ জার্মানি (তখনকার পশ্চিম জার্মানি) শিরোপা জেতে ১৯৮০ সালের পরের আসরে। এরপর ১৯৯২ আসরের ফাইনালে জিততে ব্যর্থ হয়ে ১৯৯৬ সালে শিরোপা ঘরে তোলে জার্মানরা।

স্পেনকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলতে পারলে দ্বিতীয় দল হিসেবে প্রথমবার ব্যর্থ হওয়ার পর টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠে শিরোপা জয়ের কীর্তি গড়বে ইংল্যান্ড।

মন্তব্য করুন: