মরক্কোর বিপক্ষে ম্যাচটি সার্কাসের সঙ্গে তুলনা করলেন আর্জেন্টিনা কোচ
২৫ জুলাই ২০২৪
প্যারিস অলিম্পিক ফুটবল মাঠে গড়ানোর প্রথম দিনই বেশ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। দর্শকদের বিশৃঙ্খলায় প্রায় ২ ঘণ্টা বন্ধ ছিল আর্জেন্টিনা-মরক্কো ম্যাচ। আর এই ঘটনাকে নিজের জীবনের দেখা সবচেয়ে বড় সার্কাসের সঙ্গে তুলনা করেছেন আর্জেন্টাইন কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো।
বুধবার অলিম্পিকের উদ্বোধনী ম্যাচে সাঁত এতিয়েনে মরক্কোর কাছে ২-১ গোলে হারে আর্জেন্টিনা। যদিও একটা সময় মনে হচ্ছিল, ম্যাচ ২-২ সমতায় শেষ হয়েছে।
ম্যাচে সময় নষ্ট হওয়ায় নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে বাড়তি ১৫ মিনিট যোগ করা হয়। শেষ বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে মরক্কোর জালে বল জড়ান মিডফিল্ডার ক্রিস্তিয়ান মেদিনা। কিন্তু তখনই মাঠে ঢুকে পড়ে কিছু সমর্থক। এরপর বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকে ম্যাচ। খেলা আবার শুরু হলে ভিএআর দেখে অফসাইডের কারণে মেদিনার গোল বাতিল করেন রেফারি। এই পর্যায়ে আরও ৩ মিনিট ১৫ সেকেন্ড খেলা হওয়ার পর শেষ হয় ম্যাচ।
এই পুরো ঘটনায় ম্যাচ শেষে আয়োজকদের এক হাত নেন মাসচেরানো। আর্জেন্টিনার সাবেক এই মিডফিল্ডার সাংবাদিকদের জানান, খেলা বন্ধ থাকা অবস্থায় তাদের সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগই করেনি কর্তৃপক্ষ।
“আমি এটা বোঝাতে পারব না যে কি হয়েছে। আমরা দেড় ঘণ্টা ড্রেসিংরুমে বসে ছিলাম। সেখানে কেউ আমাদের জানায়নি কী হতে চলেছে।”
“মরক্কোর অধিনায়ক আর খেলতে চাননি, আমরাও আর চালিয়ে যেতে চাইনি… সমর্থকরা নানা কিছু ছুড়ে দিচ্ছিল আমাদের দিকে। আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে বড় সার্কাস এটি। জানি না, এটুকু পর্যালোচনা করতে তাদের কেন ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট লাগল।”
“মেদিনার গোল যদি অফসাইড হয়েও থাকে, তখনই খেলা চালিয়ে যাওয়া উচিত ছিল, মোমেন্টাম ছিল আমাদের সঙ্গী। দেড় ঘণ্টা পর আবার তিন মিনিটের জন্য খেলা শুরু করার কোনো মানে নেই।”
তবে ম্যাচ হারলেও এই নিয়ে কোনো অভিযোগ করতে চান না আর্জেন্টিনা কোচ। দলের নজর এখন গ্রুপের বাকি দুই ম্যাচে জানিয়ে মাসচেরানো বলেন, “অভিযোগ করে কোনো লাভ নেই। এরকম কিছু অবশ্যই ভালো লাগার মতো ব্যাপার নয়। তবে আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে, ইতিবাচক কিছু খুঁজতে হবে এবং পরের দুই ম্যাচ জিতে কোয়ালিফাই (কোয়ার্টার-ফাইনালে) করার চেষ্টা করতে হবে।”
‘বি’ গ্রুপের পরের ম্যাচে আগামী শনিবার আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ ইরাক। মঙ্গলবার শেষ ম্যাচে তারা লড়বে ইউক্রেনের বিপক্ষে।
মন্তব্য করুন: